সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টমটমচালক হত্যা মামলায় ফেনীর সাবেক এমপি রহিম উল্ল্যাহ কারাগারে হজ নিবন্ধনের শেষ তারিখ ঘোষণা মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ করে ট্রাম্পের ওপর কমলার চাপ সাকিব কী দেশে ফিরতে পারবেন? যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার গোপন অস্ত্র ধ্বংসের রহস্য! ১৯৩৭ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ মাদক কারবারি র‍্যাবের জালে লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো পোটলা থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে এনবিআরের ১০ নির্দেশনা অযথা সময় নষ্ট না করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: গয়েশ্বর আশরাফুল হত্যা: কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার পাকিস্তানে জাতিগত সহিংসতায় ১৫ জন নিহত ঢাকায় যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে হবে আজ সেনা ও র‌্যাবের পোশাক পরে ডাকাতি, গ্রেফতার ৬ ৪৩তম বিসিএসের চাকরিপ্রার্থীরা সুখবর পেতে পারেন পূজার ছুটি শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে : ইশরাক সমালোচকদের স্বাগত জানিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা বেতার যন্ত্রপাতি আমদানি, ব্যবহার ও বাজারজাতে নতুন নির্দেশিকা লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বিমানে পেজার ও ওয়াকিটকি নিষিদ্ধ করলো ইরান

ভোটকেন্দ্রের ডাটাবেজ করা হবে : ইসি আলমগীর

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তৈরি করা ভোটকেন্দ্রগুলোকে ডাটাবেজ আকারে সংরক্ষণ করা হবে। এই ভোটকেন্দ্রের ডাটাবেজ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

ইসি আলমগীর বলেন, এই ভোটকেন্দ্রের একটা ডাটাবেজ করা হবে। কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনেও এগুলো ব্যবহার করা হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময়ও আবার চূড়ান্ত করা হবে। কারণ, অনেক কেন্দ্র পরিবর্তন করতে হবে। প্রাকৃতিক কিংবা অন্য কারণে কেন্দ্র করার অনুপযোগী হতে পারে।

তবে নতুন ভবন হলে বা পাশে নতুন একটি কলেজ হলে কিংবা প্রাকৃতিক কারণে অনুপযোগী হলে নতুন করে কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। কাজেই ডাটাবেজ থেকে কোনটা ব্যবহার করবো, কোনটা করবো না, তা নির্বাচন আসলে চূড়ান্ত করা হবে।

নির্ভুল ভোটার তালিকা দেওয়ার জন্য কেন বলা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর কারণ ত্রুটি থাকতে পারে। বাবার নামে আকারে ভুল, আবার মায়ের নামে হ পড়ে নাই, এমন হতে পারে। এ সমস্ত আবেদন যেগুলো আছে, অর্থাৎ নিজ উদ্যোগে নয়, যেগুলো আবেদন আছে যেমন- ঠিকানা পরিবর্তন, জন্ম তারিখ সংশোধন, পোস্ট কোড ভুল ইত্যাদি আবেদন ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিদিন ভোটার হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকবে।

তিনি আরও জানান, যখন তফসিল দেবো তখন আমরা ঘোষণা দেবো- এই তারিখের পরে যারা ভোটার হবে তারা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, রোহিঙ্গা ভোটার হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। কারণ, কয়েক ধাপে ওখানে আবেদন যাচাই করা হয়। তবে এখন শুনছি যে কোনো কোনো রোহিঙ্গা অন্য এলাকায় চলে গিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে আমাদের সতর্কতা জারি করা হয়েছে, আর আপনারা বিষয়টি দেখবেন।

ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতের বিষয়ে তিনি বলেন, আইনে বলা আছে- নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রণয়ন করবে। যখন তফসিল ঘোষণা হবে তখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তালিকা দেবে। এখন কাকে দিয়ে তালিকা করাবে সেটা কমিশনের ব্যাপার। এত দিন ট্রেডিশনালি যেটা হয়ে আসছিল- ভোটকেন্দ্রের তালিকা, অতীতের তালিকা ফলো করে কিছু যোগ বিয়োগ করা হতো।

এটার একটা নীতিমালা আছে যে কোথায় ভোটকেন্দ্র করা যাবে, কোথায় করা যাবে না। নীতিমালা অনুযায়ী এটা এক সময় জেলা প্রশাসক করতো, আমরা যখন চাকরি করতাম। এরপর যখন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়া হলো তখন উনার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক করতেন। এরপর উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তা থাকায় তাদের দিয়ে করা হতো।

তিনি আরও বলেন, এখন আমরা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলি, তখন তারা কিছু সীমাবদ্ধতার কথা বলেছিলেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক দূরে যেতে সমস্যা হয় না। কিন্তু কাছাকাছি ভোটকেন্দ্র করলে অনেক কেন্দ্র হয়। সে অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই ভোটকেন্দ্র কমিয়ে যদি বুথের সংখ্যা বাড়ানো যায়, তাহলে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো যাবে।

ইসি আলমগীর বলেন, দুই নম্বর বিষয় হলো আমাদের কর্মকর্তা থাকলে ভালো হবে, এটা আমরা মনে করি না। ভালো হতে পারে, মন্দও হতে পারে। আমরা বিবেচনা করে দেখলাম স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) আরো আছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজটা করলে আরো ভালো হবে। তখন আমরা শিক্ষা বিভাগকে নিলাম, কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের।

কাজেই সবাইকে নিয়ে কমিটি করলে একক কোনো ব্যক্তির প্রভাব থাকবে না। আমরা ভোটকেন্দ্র করার সময় অভিযোগ পাই। একজন কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া থাকলে অনেকেই সেখানে প্রভাব বিস্তাব করে। তারা চাপের মুখে থাকে।

এই চাপ অতিক্রম করা কঠিন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাপ যেন না হয় সেজন্য আমরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পুলিশ, শিক্ষা ও আমাদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি করেছি। এতে একক কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। এছাড়া এতোগুলো কর্মকর্তার ওপর চাপ প্রয়োগ করাও সম্ভব হবে না। আবার তারা তালিকা করার পর অভিযোগ আসলে তা শুনানির পর চূড়ান্ত হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com