কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই এলাকাবাসীর সংঘর্ষের জেরে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে এবং ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ উত্তেজনার খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ মনমরা এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় একপক্ষ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় সাকিব, জুনায়েদ, রিফাত, অজয়কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অন্যান্যদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা গেছে, শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল চারটার দিকে ভৈরব শহরের উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার ছেলেদের মধ্যে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে এই সংঘর্ষ দুই এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় দুই ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে সে সময় এক পক্ষের ৩ জন গুলিবিদ্ধ সহ ২০ জন আহত হয়।
এরপর আজ রাত ৯টায় দক্ষিণ পাড়ার লোকজন হামলা চালাতে জড়ো হয়েছে এমন সংবাদে উত্তর পাড়ার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে। দুপক্ষ হামলা চালাতে এগিয়ে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পরে উত্তর পাড়ার লোকজন পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ৩ পুলিশ আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বুলেটে উত্তরপাড়া এলাকার ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
ভৈরব থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কায়সার আহম্মদ বলেন, আমরা খবর পাই যে গতকালের সংঘর্ষের জেরে রাত ৯টার দিকে দুইপক্ষ আবারো মারমুখী অবস্থানে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করলে আমাদের উপর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে আমাদের ৩ সদস্য আহত হয়। পরে আমরা বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড গুলি করি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
বাংলা৭১নিউজ/আরএম