ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। বুধবার (১০ মে) রাজধানীর পূর্তভবনে ‘তুরস্কে সংগঠিত ভূমিকম্প থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশে ভূমিকম্প ঝুঁকিহ্রাসের লক্ষ্যে করণীয়, বিএনবিসির প্রয়োগ এবং স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
শরীফ আহমেদ বলেন, সরকার নিরাপদ নগর গঠনের লক্ষ্যে ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগঝুঁকি কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত অধিদপ্তর ঝুকিপূর্ণ ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা বাড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় কারিগরি ম্যানুয়েল প্রণয়ন করেছে এবং বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ঝুঁকি কমাতে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মেনে চলার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ঝড়-বৃষ্টি ও টর্নেডোর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বাংলাদেশ উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতি ১০০-১৫০ বছরের ইতিহাসে দেশ বড় ধরনের ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ১৮৯৭ সালের গ্রেট আসাম ভূমিকম্পসহ অনেক বড় ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়াই ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে বলে বড় মাত্রার যে কোনো ভূমিকম্প ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে। তাই এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো- ভবনগুলোকে বিএনবিসি অনুযায়ী ভূমিকম্প সহনীয় করে ডিজাইন করে শক্তিশালী করা।
শরীফ আহমেদ আরও বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের দেশে তুরস্কের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য এখনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবাইকে আইনের প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এ ব্যাপারে আইনের কঠোর প্রয়োগের ওপর সরকার গুরুত্বারোপ করছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এস কে ঘোষ অ্যাসোসিয়েটস এলএলসি, আইসিসির, প্রেসিডেন্ট সত্যেন্দ্র কুমার ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউআরপির প্রকল্প পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী। সেমিনারে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার শতাধিক প্রকৌশলী অংশ নেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ