বাংলা৭১নিউজ,(সিলেট)প্রতিনিধি: ভূমধ্যসাগর দিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সিলেটের আলোচিত জামায়াত নেতা এনামুল হক ও তার সহযোগী আব্দুর রাজ্জাকের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম লায়লা মেহের বানু এ আদেশ দেন।
এদিকে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা ফেঞ্চুগঞ্জের বিল্লাল হোসেন আজ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বিচারিক হাকিম লায়লা মেহের বানু তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক শুনানি শেষে এনামুল হকের ছয় দিন ও আব্দুর রাজ্জাকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ইউরোপে গিয়ে জীবন বদলের জন্য দালালদের আট থেকে দশ লাখ টাকা দিয়ে সংঘাতময় লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার পথে গত ১০ মে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবে ৩৯ বাংলাদেশিসহ শতাধিক মানুষ মারা যায়।
নিহত ও নিখোঁজদের মধ্যে অন্তত ২৩ জনের বাড়ি বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। এর মধ্যে চারজনের বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। রিমান্ডে নেয়া জামায়াত নেতা এনামুল হকের বাড়িও ফেঞ্চুগঞ্জের পার্শ্ববর্তী উপজেলা গোলাপগঞ্জে। সিলেট নগরের রাজা ম্যানশনে অবস্থিত তার মালিকানাধীন নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজ ট্রাভেলসের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের লোকজনকে অবৈধভাবে ইউরোপে পাচার করে আসছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহত ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ভাই মফিজ উদ্দিন গত ১৬ মে রাতে এনামুল হকসহ ২০ মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন।
মামলায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পনাইরচক গ্রামের মানবপাচারকারী জামায়াত নেতা এনামুল হক, একই উপজেলার হাওরতলা গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার ছেলে জায়েদ আহমেদ, ঢাকার রাজ্জাক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মঞ্জুর ইসলাম ওরফে গুডলাক এবং তাদের আরও ১০-১৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় সহযোগীকে আসামি করা হয়। ওই রাতেই এনামুলসহ তিন মানবপাচারকারীকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফাতর করে র্যাব।
বাংলা৭১নিউজ/এমএম