বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ভুয়া এমএলএম প্রতিষ্ঠান লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালকসহ ২৩ জন আসামির রিমান্ড আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের এক দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রনব কুমার হুই এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- কোম্পনির পরিচালক জিয়াউর রহমান, ডিষ্ট্রিবিউটর গোলাম কিবরিয়া, ইনচার্জ রাশেদুর রহমান, মো. সুমন, মো. রবিন, আমিনুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, রুহুল আমিন, মোমিনুল ইসলাম, সজীব হোসেন, ইমন মিয়া, সাইফুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, মো. নাঈম, আবুল কালাম, সাব্বির, আমজাদ হোসেন, হরমুজ আলী, শাহিন ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, নয়ন চন্দ্র রায় ও বিটু মিয়া।
এর আগে গতকাল রোববার রাজধানীর উত্তারার ১০ নম্বর সেক্টরের অভিযানে চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ওই ২৩ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোম্পানিটির মাধ্যমে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ভুয়া কোম্পানিটি মাসিক ১৬ হাজার ও তার বেশি টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনটি ভিন্ন প্যাকেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে যথাক্রমে ২৭ হাজার ১০০, ৩৭ হাজার ১০০ ও ৪৭ হাজার ১০০ টাকা নেয়। পরে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নতুন দুজন করে সদস্য সংগ্রহের শর্ত দেয়। নতুন সদস্য দিলে সামান্য কমিশন দেয়া হয়। না দিতে পারলে জোর করে স্ট্যাম্পে ও আপোসনামায় জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস