ফাইনাল না হলেও আক্ষরিক অর্থে আজকের ম্যাচটা ‘ফাইনাল।’ আজ যে জিতবে সিরিজ তার। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের দুই ম্যাচে ১-১ সমতা। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতলেন প্রথমবার অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরা মেহেদী হাসান মিরাজ। টস জিতেই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং তানজিদ হাসান তামিম মিলে উদ্বোধনী জুটিটা বেশ ভালোই করলেন। ৮.৩ ওভার পর্যন্ত খেলে স্কোরবোর্ডে যোগ করলেন ৫৩ রান।
কিন্তু এ পর্যায়ে এসে ভুলটা করে বসলেন সৌম্য সরকার। আগের দুই ম্যাচের মতোই ভালো খেলতে খেলতে অতি আত্মবিশ্বাসে ভুগতে শুরু করেছিলেন। ফলে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বলকে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ভেতরে টেনে আনেন। ফল যা হওয়ার তাই হলো। বোল্ড হয়ে গেলেন।
২৩ বলে ২৪ রান করে আউট হলেন সৌম্য সরকার। মাঠে নামেন নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে খেলা জাকির হাসান। কিন্তু কোনো জুটিই গড়ে উঠলো জাকির আর তামিমের। কারণ ১০ম ওভারের প্রথম বলেই মোহাম্মদ নবির সাজানো ফিল্ডিংয়ের ফাঁদে পড়ে উইকেট বিলিয়ে দিলেন তানজিদ তামিম।
মোহাম্মদ নবি কভার পয়েন্টে একটি ফিল্ডার রেখে এমনভাবে বলটা ডেলিভারি দিলেন এবং সে ডেলিভারিতে খেলতে বাধ্য করলেন তানজিদ হাসান তামিমকে। হাশমতউল্লাহ শহিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তানজিদ তামিম। ২৯ বলে তিনি খেলেন ১৯ রানের ইনিংস।
মাঠে নামেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। জাকির হাসানের সঙ্গে জুটি গড়বেন কি, তার আগেই ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হলেন জাকির হাসান। মিরাজের কলে জাকির ননস্ট্রাইক প্রান্ত থেকে অনেকদূর দৌড়ে চলে যান।
কিন্তু মিরাজ যখন তাকে ফিরিয়ে দিলেন, তখন নিজের ক্রিজে গিয়ে পৌঁছাতে পারেননি। নানগেয়ালিয়া খারোতের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে গেলেন। অর্থাৎ বিনা উইকেটে ৫৩ থেকে ৩ উইকেটে ৫৮ রান বাংলাদেশের।
এরপর উইকেট হারালেন তাওহিদ হৃদয়।মিরাজের সঙ্গে জুটি বাধা হলো না তার। ৭২রানের মাথায় রশিদ খানের বলে গুলবাদিন নাইবের বলে আউট হন হৃদয়।
এ রিপোর্ট লেখার সময় ১৫.৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৬। ৮ রানে মিরাজ এবং ৩ রানে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ