বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জনকে স্মরণ করেছে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস।
শনিবার (৭ মার্চ) এ উপলক্ষে ভিয়েতনাম দূতাবাসের চ্যান্সারি ভবনে এক বিশেষ কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া, মোনাজাত, আলোচনা এবং ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়।
ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় ভিয়েতনাম অতিথি, দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স আলী মহসীন রেজা সমবেত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একাকার! বঙ্গবন্ধুই পেরেছিলেন এ জাতিকে সংঘবদ্ধ করতে, একতাবদ্ধ করতে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে তিনি বার বার কারাবরণ করেছেন। নিজ জীবন উপেক্ষা করে তিনি সব সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন। মহা সংগ্রামী এ নেতার নেতৃত্ব মেনে নিয়ে সেদিন সব শ্রেণীর মানুষ সংঘবদ্ধ হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার যে উদাত্ত আহবান জানিয়েছিল, তারই ফলস্বরূপ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু এবং সে সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটির অভ্যূত্থান হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ-স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সম্মান জানায়নি, বরং পুরো বাঙালি জাতিকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ও প্রেরণাদানকারী ভাষণ নতুন প্রজন্মের জন্য এক মাইলফলক হিসেবে সর্বদাই বিরাজমান এবং আজ সারা পৃথিবীতে এ অবিস্মরণীয় ভাষণের মর্মবাণী বিভিন্ন জাতির অনুপ্রেরণা সৃষ্টি এবং গবেষণার বিষয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য নিশ্চিত এক বিরল সম্মান।
শেষে ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, ভাষণের বাংলা ও ইংরেজি কপি আগত অতিথিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এফআর