বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রাথমিক খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন ২০৩০-এর আলোকেই তৈরি হচ্ছে এ ইশতেহার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রণীত ইশতেহারে সরকার, সংসদ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, কৃষি, পররাষ্ট্রনীতিসহ সরকারের প্রতিটি সেক্টরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
সুশাসন, স্বচ্ছতা ও স্ব অবস্থান- এ তিন অঙ্গীকারের মধ্যে দিয়ে নবধারার রাজনীতি ও সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি থাকছে ইশতেহারে। থাকছে নতুন নতুন চমক ও অঙ্গীকার। ‘জনগণ এ রাষ্ট্রের মালিক’- এ ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত করার নির্দেশনা সংবলিত ইশতেহারে সব মত ও পথ নিয়ে বাংলাদেশকে একটি রেইনবো ন্যাশন বা রংধনু জাতিতে পরিণত করার বিস্তারিত ঘোষণা থাকবে। গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপরও। ১ সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ ইশতেহার চূড়ান্ত হতে পারে।
সূত্র জানায়, ইশতেহার প্রণয়ন কমিটিতে রাজনীতিবিদ ছাড়াও রয়েছেন শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষিসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতের বিশেষজ্ঞ। ইতিমধ্যে ‘দেশের মালিক জনগণ, ধানের শীষে ভোট দিন’; ‘দেশ বাঁচাতে মানুষ বাঁচাতে, আনবে পারিবর্তন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’সহ তিনটি স্লোগানের খসড়া তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম স্লোগানটির পক্ষে অনেকে মত দিয়েছেন। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এছাড়া শান্তি ও কল্যাণকর সংসদীয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র তৈরির জন্য জাতির উদ্দেশে ৫ প্রতিশ্রুতি ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রাথমিক খসড়ায় রয়েছে। যা ইশতেহার প্রণয়ন কমিটিতে যুক্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দিয়েছেন। প্রস্তাবিত প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। বাস্তবতা বিবেচনায় কিছুটা পরিবর্তন এলেও এসব প্রতিশ্রুতি প্রাধান্য পাবে ইশতেহারে।
এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের জন্য আমাদের ইশতেহারের একটা ড্রাফট করা হয়েছে। ১ সপ্তাহের মধ্যে এটা চূড়ান্ত করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি দল। নির্বাচনের জন্য ইশতেহার অবশ্যই দেয়া হবে। ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে। শিগগিরই তা দেয়া হবে। আগামী দিনে দেশ ও জনগণের জন্য আমরা কী কী করতে চাই তা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০-এ তা উল্লেখ করেছেন। ইতিমধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও ১১টি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সবগুলোর সমন্বয় করে ইশতেহার তৈরি করা হবে।
সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার প্রণয়নে যে কমিটি করা হয়েছে তাতে বিএনপি থেকে সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, গণফোরামের আওম শফিক উল্লাহ, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইকবাল সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমান রয়েছেন। আর এ কমিটির মূল দায়িত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মূলত এ কমিটি গঠনের অনেক আগেই ইশতেহার নিয়ে কাজ করছেন বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষিসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতের বিশেষজ্ঞরা। নেয়া হয় সুশীল সমাজের মতামতও। তবে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকায় ইশতেহার প্রণয়ন ধীরগতিতে এগোয়।
বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণার পর ইশতেহার প্রণয়নের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ করা হয়েছে। পরামর্শ নেয়া হয়েছে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটির কাছে বিএনপির এ খসড়া ইশতেহারই দেয়া হবে। যেখানে সংযোজন-বিয়োজন করে ফ্রন্ট নেতারা ইশতেহার চূড়ান্ত করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইশতেহার প্রণয়নে যুক্ত বিএনপির এক নেতা বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইশতেহার দেবে। একই সঙ্গে বিএনপিও আলাদাভাবে নির্বাচনী ইশতেহার দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির মধ্যে সমন্বয় থাকবে।
এ ব্যাপারে মাহফুজ উল্লাহ বলেন, শিগগিরই ইশতেহার দেয়া হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন ২০৩০-এ একটি ধারণা দেয়া আছে। ইশতেহারে কি কি থাকবে এখনও চূড়ান্ত করিনি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে চূড়ান্ত হতে পারে। একটা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের, আরেকটি সম্ভবত বিএনপির ইশতেহার হবে। তবে দুটির মধ্যে সমন্বয় থাকবে। ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি বৈঠকে বসবে।
সূত্র জানায়, ৩৭টি বিষয়ে ২৫৬ দফা সংবলিত ‘ভিশন-২০৩০’ তুলে ধরার পর দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উজ্জীবিত হয়েছেন বলে মনে করছে বিএনপি হাইকমান্ড। এটি কাজে লাগিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতি জনআস্থা ও বিশ্বাস আরও কিভাবে সুদৃঢ় করা যায়, সে লক্ষ্য নিয়েই তৈরি হচ্ছে ইশতেহার। এর মূল ভিত্তি হবে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা।
জানা গেছে, রাজনীতিতে অতীতমুখিতা বা প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে নতুন ধারার সৃষ্টি, ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সংসদকে সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি থাকবে ইশতেহারে। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে প্রশাসনে আমূল পরিবর্তন আনার প্রত্যয় থাকবে ইশতেহারে। সুশাসন, সুনীতি ও সু-সরকারের (থ্রি-জি) সমন্বয় ও বৃহত্তর জনগণের সম্মিলনের মাধ্যমে ‘ইনক্লুসিভ সোসাইটি’ গড়ার অঙ্গীকার থাকবে এতে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগে দলীয়করণের অবসান ঘটিয়ে মেধা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা থাকবে।
শিক্ষা ও কৃষি খাতে যুগোপযোগী সংস্কারের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা, বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা, ক্রীড়াক্ষেত্রে শুধু স্থাপনা নির্মাণ নয়, গুরুত্ব দেয়া হবে নিয়মিত টানা অনুশীলনের দিকে, খেলায় শতভাগ মনোযোগ দেয়ার লক্ষ্যে খেলোয়াড়দের আর্থিক বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখার প্রতিশ্রুতি থাকবে। তরুণদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ ইশতেহার তৈরি করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫; এর সঙ্গে মিল রেখে অবসরের বয়স বাড়ানো, কোটার যৌক্তিকীকরণ হবে। মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাস্তবতা অনুযায়ী যৌক্তিক হারে পুনর্বহাল, চাকরিতে মেধাই একমাত্র মানদণ্ড, চাকরিতে আবেদনের ফি বা পে অর্ডার থাকবে না, যানবাহনে বা গণপরিবহনে স্টুডেন্ট হাফভাড়া কার্যকর, সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট, তরুণদের সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে প্রত্যেক উপজেলায় সমৃদ্ধ পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন ইত্যাদি ইশতেহারে থাকছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে না। পর্যায়ক্রমে সব সরকারি করা হবে। বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের চাকরি পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে।
শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ মেধা অনুসরণ, শুধু দাওরায়ে হাদিসের স্বীকৃতিতে কওমি শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরি মিলবে না। কেননা বেশিরভাগ চাকরিতে স্নাতক ডিগ্রি চাওয়া হয়। তাই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের চাকরিতে যোগ্য করতে দাওরায়ে হাদিসের নিচের তিন স্তরকে সমমানের স্বীকৃতি দেয়া হবে। স্বাস্থ্য, কৃষি, পররাষ্ট্রনীতিসহ সরকারের প্রতিটি সেক্টর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ইশতেহারে। ‘স্মার্ট শহর’ নামে একটি অঙ্গীকার থাকবে ইশতেহারে। স্মার্ট শহরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, যাতে করে মানুষ আরও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন।
সূত্র জানায়, এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের খসড়া ইশতেহারে ৫ প্রতিশ্রুতি এসেছে। খসড়ায় প্রস্তাবিত প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, বেকারত্ব নিরসন, বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, কৃষিতে ভর্তুকি, দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ ও শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ।
যার মধ্যে প্রথম প্রতিশ্রুতি হচ্ছে- স্থানীয় সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচের সর্বোচ্চ দ্বিগুণ মূল্য স্থির হবে বিক্রয়মূল্য হিসেবে এবং নগরবাসী কৃষিপণ্য পাবেন উৎপাদক সমবায় সমিতির নির্ধারিত মূল্যের সর্বোচ্চ ২-৩ গুণ অধিক মূল্যে।
কৃষকের প্রতি কেজি মুলার স্থানীয় বিক্রয় দর ৫ টাকা হলে তা নগরবাসী পাবেন ১০-১৫ টাকায়। প্রয়োজনমাফিক সব কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য ভর্তুকি দেয়া হবে। যাতে কৃষিতে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং পাশের দেশগুলো থেকে কৃষিজাত পণ্যের আমদানি কমে। দ্বিতীয়, বাজার মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ হবে এবং সামরিক বাহিনীর দরে সব শ্রমিককে রেশন দেয়া হবে। শ্রমিকরা মাসিক মাত্র ২৫০ টাকা প্রিমিয়ামে সব স্বাস্থ্য সুরক্ষা বীমা সুবিধা পাবেন। শ্রমিকরা শুধু ওষুধের মূল্য দেবেন। তৃতীয়ত, সারা দেশের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দ্রুত উন্নয়নের নিমিত্তে ‘১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতির’ সুষ্ঠু প্রয়োগ হলে ৩ মাসের মধ্যে সব অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের মূল্য ন্যূনতম অর্ধেক হবে। সব ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার দর কমপক্ষে ৫০ ভাগ কমবে।
হৃদরোগের চিকিৎসা খরচও একই হারে কমবে। প্রাথমিক অবস্থায় ঢাকা শহরে নতুন কোনো হৃদরোগের সরকারি হাসপাতাল তৈরি না করে দেশের ৮টি প্রধান শহরে হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। গ্রামীণ জনসাধারণকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে সব ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ১ বছর ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করে ১ বছর প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হবে।
সব বড় ও জেলা শহরে জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স প্রথা চিকিৎসা সৃষ্টি করে দ্রুত যথাযথ চিকিৎসার জন্য রেফারেল ব্যবস্থা শুরু হবে। আইন সংশোধন করে অঙ্গপ্রতিস্থাপন নিয়মাবলী সহজলভ্য করা হবে। বাংলাদেশের সর্বত্র ৬ মাসের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন হবে দেড় থেকে দুই লাখ টাকায়। চতুর্থ, দুই বছরের মধ্যে দেশে ৫ লাখ গ্র্যাজুয়েটের কর্মসংস্থান হবে। বয়োবৃদ্ধরা বাস ও ট্রেনে ভ্রমণ সুবিধা পাবেন এবং শিক্ষিত বয়োবৃদ্ধদের জন্য অবৈতনিক কর্মসংস্থান হবে। পঞ্চমত, ঢাকা শহরে আর একটিও সরকারি বিল্ডিং এমনকি সরকারি হাসপাতালও নয়।
২ বছরের মধ্যে প্রশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও টেক্সট বই প্রকাশনা, গণপরিবহন, নারী উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ ব্যবস্থাপনা ৮টি প্রদেশ বা ১৭টি স্টেটভিত্তিক বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকবে সুপ্রিমকোর্ট, সেনাবাহিনী, পররাষ্ট্র, বৈদেশিক বাণিজ্য, বিমান ও সমুদ্রবন্দর, আন্তঃজেলা মহাসড়ক এবং ইনকাম ট্যাক্স ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও নৌবাহিনীর সদর দফতর এবং নৌ ও বন্দর মন্ত্রণালয় চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত হবে।
আইন ও বিচার বিভাগের সংস্কার, বিচারকদের স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতি ও বিচার কাজে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, হাইকোর্টের বিচারপতিদের বার্ষিক ছুটি ৪ সপ্তাহে সীমিতকরণ ও সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে মামলার রায় চূড়ান্ত করা হবে।
সব সিভিল ও ক্রিমিনাল মানহানি মামলায় বাধ্যতামূলক কোর্ট ফি নির্ধারণ, পুলিশ বা অন্যভাবে সৃষ্ট মিথ্যা মামলার জন্য ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা এবং শুধু অভিযুক্ত ব্যক্তির বাসস্থানের শহরের আদালতে মানহানি মামলা করতে হবে, অন্যত্র নয়। অহেতুক মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ মানহানির মামলা করতে পারবেন না। আইনের অপপ্রয়োগ নয়, সঠিক প্রয়োগই লক্ষ্য।
খুনের মামলা ছাড়া অন্য মামলায় আসামিদের হাইকোর্টে জামিন হলে সরকার সুপ্রিমকোর্টে আপিল করে অহেতুক সময় ও অর্থব্যয় করবে না। গণভোট, ন্যায়পাল নিয়োগ হবে। আলাদা সাংবিধানিক কোর্ট স্থাপন করা হবে প্রত্যেক প্রদেশ বা স্টেটে। সুপ্রিমকোর্ট থাকবে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীতে।
এ ব্যাপারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের খসড়া ইশতেহারে ৫টি দফা রয়েছে। এটা এখনও গৃহীত হয়নি। তবে ইশতেহারের ফোকাস পয়েন্ট থাকবে কৃষক শ্রমিকের জীবনযাত্রার উন্নয়ন।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে