বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা শেষে ফেরার পথে গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
তিনি এই হামলার জন্য ভাটাড়ে টোকাইদের দায়ী করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন একথা বলেন।
হামলার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের লজ্জা থাকা উচিত। তোমরা মুখ দেখিও না। তোমাদের মুখ দেখব না। আর মাত্র ১৬ দিন আছে, চেষ্টা কর ভালভাবে থাকতে। তোমাদের কাছে আর কিছু চাই না।’
গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘আজ কারা হামলা করেছে? কি বলব, এরা টোকাই। আমরা শ্রদ্ধা জানানো শেষে ফেরার সময় হামলা চালিয়েছে। এরা ভাড়াটে। তোমরা কত পয়সার বিনিময়ে কাজটা করেছ? চার পয়সা দেব, সরে যাও। এই হামলা শহীদের প্রতি অপমান।’
তিনি বলেন, ‘এই হামলার ঘটনার তথ্য আমরা আইজিপিকে দেব। আইজিপি সাহেব, আমি আপনাকে চিঠি পাঠাব। আপনাকে তথ্যগুলো দেব, আপনার বিশ্বস্ত লোক দিয়ে তদন্ত করাবেন। আপনাকে আমরা সব রকম সাহায্য করব। আইনানুগ সহায়তাও করব।’
পুলিশের উদ্দেশ্যে কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশে কোনো সরকার আইনের ঊর্ধ্বে না। আপনারা বেআইনি আদেশ মানবেন না। আগে দেখবেন আদেশটি আইনানুগ কি না, সংবিধান ভঙ্গ করবে কি না। আমি তোমাদের শুভাকাঙ্ক্ষি হিসেবে বলছি, সরকারের অবৈধ আদেশ মানবেন না।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের কথা বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন। আজকে যে কাজগুলো করা হচ্ছে, এতে বঙ্গবন্ধুর কথাকে অমান্য করা হচ্ছে।’
নির্বাচন ঘিরে গ্রেফতারের সমালোচনা করে কামাল হোসেন বলেন, ‘কেন এত গ্রেফতার করা হচ্ছে? কার আদেশে এই গ্রেফতার?’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এতদিন জানতাম আওয়ামী লীগের রাগ আছে শুধু বিএনপির প্রতি। এখন দেখি যারাই তাদের বিরুদ্ধে যায়, তাদের ওপর হামলা করে।’
তিনি বলেন, ‘সিইসি বলছেন, তৃতীয় শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। আমরা কিন্তু কিছুই বলিনি। নির্বাচন কমিশন একটা ঠুটো জগন্নাথ। আপনি অসহায়ত্ব দেখান। আপনি মসজিদের ইমাম নাকি যে, কোনো ক্ষমতা নেই।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ পর্যন্ত যে ক’টা ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর বিচার করতে হবে। বিচার করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, অব্যাহতি নেন। না হয় সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘ধারালো অস্ত্র, লাঠি, রড নিয়ে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরানো যাবে না। মরব কিন্তু, নির্বাচন থেকে সরে যাব না। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, ঐক্যফ্রন্ট নেতা শহীদুল্লাহ কায়সার, গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ। সূত্র: পরিবর্তন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস