বাংলা৭১নিউজ,(পাবনা)প্রতিনিধি: স্বাধীনতার পর এই প্রথম ভারত থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ ১০৩টি পণ্যবাহী ট্রেন (মালবাহী ট্রেন) এসেছে বাংলাদেশে। এতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজস্ব আয় হয়েছে ১১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ৭৫২ টাকা। একই সঙ্গে পূরণ হয়েছে খাদ্য চাহিদা। এসব সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের মহামারির প্রভাবে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো না চলার কারণে।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহণ (ডিটিও) কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন আজ (বৃহস্পতিবার) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের দুর্যোগ ও মহামারির কারণে যাত্রীবাহী সকল ট্রেন বন্ধ ছিলো। এই কারণে পণ্যবাহী ট্রেনগুলোর দিকে সর্বোচ্চ সময় দেওয়া হয়। তাছাড়া যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রেনগুলো চলাচলে সময়ক্ষেপণ কিংবা ট্রেন ক্রসিং (এক ট্রেন স্টেশনে রেখে অন্য ট্রেনকে পার করা) সমস্যায় পড়তে হয়নি। চাহিদা মোতাবেক পাওয়া গেছে ইঞ্জিন, ক্রু (চালক) এবং ট্রেন পরিচালক (গার্ড)। এজন্য চলতি বছরের শুধু জুন মাসেই ভারত থেকে ১০৩টি পণ্যবাহী ট্রেন আসা সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যে ৩২টি পাথর , ৪০টি পেয়াঁজ, ১৩টি ভুট্টা, একটি ফ্লাই অ্যাশ, একটি শুকনো মরিচ, একটি ডিওসি এবং অন্য ১৫টিতে পণ্যজাত দ্রব্য আনা হয়।
পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন জানান, স্বাধীনতার পর থেকে ভারত থেকে বাংলাদেশে মাসে গড়ে ৭০-৮০টি পণ্যবাহী ট্রেন আনা নেওয়া সম্ভব হতো। কারণ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের কারণে পণ্যবাহী ট্রেনগুলো সময়ের কাছে মার খেতো। চাহিদা থাকলেও সময়মতো ইঞ্জিন, ক্রু (চালক) ও পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালক (গার্ড) পাওয়া যেতো না। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারিতে সরকারী সিদ্ধান্তে যাত্রীবাহী সকল ট্রেন বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রেনগুলোর চলাচলে গতি বেড়েছিল। এই কারণে চলতি বছরের জুন মাসেই সর্বোচ্চ রেকর্ড ১০৩টি পণ্যবাহী ট্রেন ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে।
পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক জানান, বিভিন্ন পথে ভারত থেকে পণ্যসামগ্রী বাংলাদেশে আনা হতো। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থলপথে ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ ছিলো। খাদ্য ঘাটতি যেন সৃষ্টি না হয়, সেই কারণে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, রেলওয়ে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে ও সার্বক্ষণিক ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করায় এই সময়ে ভারত থেকে রেলপথে এতো পণ্যবাহী ট্রেন আনা-নেওয়া সম্ভব হয়েছে। ভারত থেকে আসা ১০৩টি ট্রেনের পণ্যবাহী রেক গ্রহণ ও বাংলাদেশ হতে খালি রেক ভারতে পাঠানো হয়েছে। যা স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ রেকর্ড।
ডিআরএম আসাদুল হক আরও জানান, এতে রেলওয়েতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে চলমান পরিস্থিতিতে দেশে খাদ্য চাহিদাও পূরণ হয়েছে। পাশাপাশি জনবলের কর্মসংস্থান, দেশে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেডএ