বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেল আগের চেয়ে একটু কম দামে ব্যারেল প্রতি ১০৪ ডলার বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতের বাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী দৌড় অব্যাহত রয়েছে।
কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে আজ সোমবার লিটার প্রতি আরো ৪২ পয়সা বেড়ে ১১৩ টাকা ৪৫ পয়সায় পৌঁছেছে পেট্রলের দাম। এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ দর।
বিজ্ঞাপন
রেকর্ড গড়ার পথে ছুটছে ডিজেলও। প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮ টাকা ২২ পয়সা দরে। যা আগের দিনের থেকে ৪০ পয়সা বেশি।
এ নিয়ে মোট ১৪ দিনের মধ্যে ১২ দিনই দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের। পেট্রলের দাম বাড়ল মোট ৮ টাকা ৭৮ পয়সা এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে তা ৮ টাকা ৪৩ পয়সা।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, দাম বৃদ্ধির এই গতি কার্যত নজিরবিহীন। আশঙ্কা প্রকাশ করেছে শিল্পমহল থেকে আমজনতা, সব পক্ষেরই প্রশ্ন- শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে দাম?
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অপরিশোধিত তেলের দিকে আঙুল তুললেও, বিরোধীদের নিশানায় মোদি সরকার।
গতকাল রবিবার সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, মোদি প্রশাসন আট বছরে জ্বালানি থেকে ২৬.৫ লাখ কোটি টাকার বেশি কর সংগ্রহ করেছে। ভারতে প্রায় ২৬ কোটি পরিবার আছে। তার মানে, প্রতিটি পরিবার থেকে গড়ে ১ লাখ টাকা করে জ্বালানি কর নিয়েছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, বিজেপি সরকার বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলে ভারতে তেলের উৎপাদন শুল্ক বাড়ানোর নীতি নিয়ে চলে। এমনভাবে শুল্ক চাপিয়ে দেয়, যাতে আমজনতা দাম কমার বিন্দুমাত্র সুবিধা না পান। ফলে সব সময়ই তা বাড়তে থাকে।
পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা হরপাল সিংহ চিমা বলেছেন, পাঁচ রাজ্যে ভোট মিটতেই লাগাতার তেলের দাম বাড়িয়ে মানুষকে লুটছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্র: আনন্দবাজার।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন