একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের শরণার্থী শিবিরে কলেরা মহামারিসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ৩ লক্ষাধিক বাঙালিকেও শহীদ হিসেবে বিবেচনার আহবান জানালেন বিশ্বব্যাংকের বিকল্প পরিচালক এবং বাংলাদেশের সাবেক কেবিনেট সেক্রেটারি মোহাম্মদ শফিউল আলম। ‘এভাবে কত সহস্র বাঙালির প্রাণ ঝরেছে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের প্রাক্কালে। তাদের সেই ত্যাগের স্বীকৃতি দেয়া দরকার। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরায় একাত্তরের মুক্তিকামী জনতার প্রত্যাশাও বেড়েছে’-মন্তব্য শহীদ পরিবারের সদস্য এবং সাবেক শীর্ষস্থানীয় এই আমলার।
নিউইয়র্কে ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ভবনে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘চিটাগাং এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা’র (চট্টগ্রাম সমিতি) সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিউল আলম দেশ ও প্রবাসের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অভিবাদন এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক অঞ্চলে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রধান অতিথিসহ আয়োজক চট্টগ্রাম সমিতির কর্মকর্তারা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোক্তাদির বিল্লাহ বলেন, বিজয়ের ৫০, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এমন একটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সমিতিও বাংলাদেশের বর্ণাঢ্য ইতিহাসের অংশ হলো।
উল্লেখ্য, সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আহসান হাবিব মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তিনিও তার বাবার সহযোদ্ধাদের সান্নিধ্য পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।
বিজয় দিবসের প্রেক্ষাপট, একাত্তরের স্মৃতিচারণ এবং গত ৫০ বছরের বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সিরাজি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ শুক্কুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গির আলম, কমিউনিটি লিডার কাজী নয়ন, আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুল করিম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান-প্রজন্ম ফোরামের আহবায়ক আশরাব আলী খান লিটন প্রমুখ।
শেষ পর্বে সাহাবউদ্দিন লিটনের সমন্বয়ে বিজয়ের গান পরিবেশন করেন চন্দ্রা রায়, রাজিব এবং খায়রোল বাশার।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ