বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ভোটযন্ত্রে আজ মঙ্গলবার বন্দি হতে চলেছে একগুচ্ছ ভিভিআইপির ভাগ্য। সপ্তদশ সাধারণ নির্বাচনে আজ তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ১১৭টি আসনে ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেই দুই আসন, যেখান থেকে লড়ছেন দেশের দু’টি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের দুই সর্বোচ্চ নেতা।
গুজরাতের আমেদাবাদে ভোট দিলেন নরেন্দ্র মোদী। ভোট দিলেন অমিত শাহও। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।আজ পিলভিট কেন্দ্রেও ভোট গ্ররহণ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে এই কেন্দ্রের জয়ী সংসদ সদস্য মানেকা গান্ধী। কিন্তু এবার সেই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তাঁর ছেলে বরুণ গান্ধী।
নির্বাচন কমিশন প্রথমে যে নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল, তাতে মঙ্গলবার ১১৬টি কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোটগ্রহণ হয়নি। তা পিছিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। ওই আসনটিতেও আজ ভোট নেওয়া হচ্ছে। তাই মোট আসনসংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১১৭।তৃতীয় দফায় ১৮ কোটি ৫৬ লাখ ভোটারের ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
দিনভর সবচেয়ে বেশি নজর অবশ্য আজ থাকবে গুজরাতের গাঁধীনগর এবং কেরলের ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রের দিকে। গাঁধীনগর থেকে লড়ছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ওয়ানাড থেকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
ভিভিআইপি প্রার্থীর তালিকা অবশ্য এখানেই শেষ হচ্ছে না। উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী লোকসভা আসনেও আজ ভোট। মহাগঠবন্ধন সমর্থিত এসপি প্রার্থী হিসেবে সেখানে লড়ছেন মুলায়ম সিংহ যাদব। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তিনি, দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও।
গুজরাত এবং কেরলের সবক’টি আসনেই আজ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আসাম, বিহার, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, জম্মু-কাশ্মীর, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণ হচ্ছে কেন্দ্রশাসিত দাদরা ও নগরহাভেলিতেও।
এদিকে, ভোট শুরু হতেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে কাউন্সিলরের স্বামীকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে। বুথের ৩০০ মিটারের মধ্যেই ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী তুজাম্মেল আনসারিকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ। মারধর করা হয় তৃণমূল কাউন্সিলরকেও। তৃণমূল কর্মীদের বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলার অভিযোগ এসেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। সিপিএম, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধীরা।
তবে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর ওপর ‘হামলা’র ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম