ভারতের উত্তরপ্রদেশে কুম্ভমেলায় পদদলিতের ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কুম্ভমেলার এক চিকিৎসক সংবাদমাধ্যম এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মৌনী আমবস্যায় ‘অমৃত স্নান’ করার সময় হুড়োহুড়ির কারণেই এমন বিপত্তি। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মৌনী অমবস্যা উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষের ভিড় হয়েছিল প্রয়াগরাজে। বুধবার ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘অমৃত স্নান’ করতে জড়ো হয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা।
জানা গেছে, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। হঠাৎ ধাক্কাধাক্কি শুরু হওয়ায় ভিড়ের মধ্যে আটকে পড়েন অনেকে। দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। আহতদের উদ্ধার করে মেলা প্রাঙ্গণেরই হাসপাতালে আনা হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেককেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
ত্রিবেণী সঙ্গমে মৌনী অমবস্যায় স্নান করতে দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেছিলেন মহাকুম্ভে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রয়াগরাজে ভিড় বাড়তে থাকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে মেলা প্রাঙ্গণের অনেক ব্যারিকেড ভেঙে গেছে। মঙ্গলবার মাঝরাত থেকেই বহু পুণ্যার্থী ত্রিবেণী সঙ্গমে ভিড় করতে শুরু করেন। রাত ২টা নাগাদ পদদলিতের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। চলছে উদ্ধারকাজ।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি কুম্ভমেলায় আগুন ছড়িয়েছিল। ১৯ নম্বর সেক্টরে গীতা প্রেসের তাঁবু জ্বলে উঠেছিল দাউদাউ করে। সেখান থেকে আশপাশের কিছু তাঁবুতেও আগুন ছড়ায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫০টিরও বেশি তাঁবু। তাঁবুগুলোর ভেতর থেকে পর পর সিলিন্ডার ফাটার শব্দও পাওয়া যাচ্ছিল।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ