সীমান্তে যুদ্ধ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল দুই দেশ। অথচ সেই চীনই নাকি ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী। ২০২০ সালটা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য একটা পরীক্ষা ছিল। ওই বছরের মাঝামাঝি লাদাখে দুই দেশের সেনাসদস্যের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের পর সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে দুই দেশের মধ্যে।
ভারত জুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের রব ওঠে। নিষিদ্ধ করা হয় বহু চীনা অ্যাপ। চীনা পণ্য আমদানি কমিয়ে দেয়ারও বার্তা দেয় দিল্লি। এত কিছুর পরও ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে ফের ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী দেশ হিসেবে উঠে এলো চীন।
করোনা মহামারি এবং এ কারণে সৃষ্টি হওয়ার অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও চীনের সঙ্গে প্রায় ৭ হাজার ৭৭০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক লেনদেন করেছে ভারত। এর মধ্যে চীন থেকে পণ্যই কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৮৭০ কোটি ডলারের।
ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আর্থিক সংস্থা ব্লুমবার্গ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সঙ্গেও ভারতের বেশ জোরালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে ভারতের চীন নির্ভরতা তুলনামূলক বেশি।
২০১৭ এবং ২০১৮ সালেও চীনই ছিল ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী দেশ। ২০১৯ সালে তাদের টপকে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ২০২০ সালে ফের ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য সহযোগী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে চীন।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র, আমিরাতের মতো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশী হিসেবে ভারত ও চীনের পারস্পরিক একটা বোঝাপড়া রয়েছে। তাই ২০২০ সালে সীমান্ত সংঘাত, করোনা মহামারি এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও বাণিজ্যক সম্পর্কে তেমন ক্ষতি হয়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এএস