সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টমটমচালক হত্যা মামলায় ফেনীর সাবেক এমপি রহিম উল্ল্যাহ কারাগারে হজ নিবন্ধনের শেষ তারিখ ঘোষণা মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ করে ট্রাম্পের ওপর কমলার চাপ সাকিব কী দেশে ফিরতে পারবেন? যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার গোপন অস্ত্র ধ্বংসের রহস্য! ১৯৩৭ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ মাদক কারবারি র‍্যাবের জালে লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো পোটলা থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে এনবিআরের ১০ নির্দেশনা অযথা সময় নষ্ট না করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: গয়েশ্বর আশরাফুল হত্যা: কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার পাকিস্তানে জাতিগত সহিংসতায় ১৫ জন নিহত ঢাকায় যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে হবে আজ সেনা ও র‌্যাবের পোশাক পরে ডাকাতি, গ্রেফতার ৬ ৪৩তম বিসিএসের চাকরিপ্রার্থীরা সুখবর পেতে পারেন পূজার ছুটি শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে : ইশরাক সমালোচকদের স্বাগত জানিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা বেতার যন্ত্রপাতি আমদানি, ব্যবহার ও বাজারজাতে নতুন নির্দেশিকা লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বিমানে পেজার ও ওয়াকিটকি নিষিদ্ধ করলো ইরান

ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সব ইস্যুর সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে একটি প্রবাহমান নদীর সঙ্গে তুলনা করে অমীমাংসিত সব ইস্যুর সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ভারতের জনপ্রিয় পত্রিকা হিন্দু’র আজকের সংখ্যায় প্রকাশিত তাঁর নিবন্ধে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেক্সিকান নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক অক্টোভি লিখেছেন, বন্ধুত্ব একটি নদী। আমি মনে করি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্ব একটি বহমান নদীর মতোÑ যা উদারতায় পূর্ণ। এটিই প্রতিবেশী দুটি দেশের জনগণের চেতনা।’

চারদিনের সরকারি সফরে বর্তমানে নয়াদিল্লীতে অবস্থানকারী শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, আমাদের প্রতিশ্রুতি আন্তরিক। আমরা জনগণের স্বার্থে সবকিছু অর্জন করতে সক্ষম হবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি শান্তিতে বিশ্বাসী। একমাত্র শান্তিপূর্ণ সহযোগিতই এই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। তবে আমি মনে করি, যে কোন বিষয় শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সদিচ্ছার প্রমাণ দেখাতে সক্ষম হয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তার মতো অভিন্ন কিছু নদীর পানি বন্টনের মতো অনেকগুলো ইস্যু রয়েছে। এ সকল ইস্যুর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশাবাদী। আমাদের প্রতিবেশী দেশের জনগণ ও নেতৃবৃন্দের স্বদিচ্ছায় এসব ইস্যুর সমাধানে আমি আশাবাদী। তিনি বলেন, আমি জানি সম্পদ অপ্রতুল, তবে আমরা দু’দেশের জনগণের কল্যাণে এই সম্পদের ব্যবহার করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে তাঁর চারদিনের সফর উপলক্ষে সে দেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তাঁর এই সফর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমাদের লালন, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, জীবনানন্দ দাস ও আমাদের ভাষা প্রায় এক। আমরা আমাদের পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তার পানিতে লালিত-পালিত হচ্ছি। সুন্দরবন আমাদের অভিন্ন গৌরব। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। তাহলে অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে আমরা কেন সমাধানে আসতে পারবো না।’

শেখ হাসিনা আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তাঁর নিবন্ধে বলেন, ‘আমি সবসময় দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের প্রধান শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছি। বাংলাদেশ ও ভারতের বিপুলসংখ্যক মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তারা মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। পুষ্টিহীনতায় বিপুলসংখ্যক শিশুর বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের সক্ষমতা আছে, তবে আমাদের যা প্রয়োজন তা হচ্ছে মানসিকতা পরিবর্তন করা। আমি মনে করি, দারিদ্র্য বিমোচনে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের প্রাধান্য দেয়া উচিত। আজ বিশ্বায়নের যুগে কোন কিছু এককভাবে করা কষ্টকর। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহায়তা অনেক কিছুকে সহজ করে তুলতে পারে। এ কারণে আমি সবসময় আঞ্চলিক সহযোগিতা ও কানেক্টিভিটির উন্নয়নে গুরুত্ব আরোপ করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে ২০০৯ সালে আমার দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। রেল, সড়ক ও জলপথে কানেক্টিভিটির ব্যাপক উন্নয়ন হয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বহুগুণ বেড়ে যায়। দু’দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পায় এবং এ ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতার ফলে আমাদের জনগণ উপকৃত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে এ সম্পর্ক ব্যাপকভাবে দেয়া-নেয়ার প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি সারাজীবন প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়- এ নীতি অনুসরণ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসৃত নীতি থেকে আমরা শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি। বাংলাদেশের সংগ্রাম হচ্ছে সার্বজনীন শান্তি ও ন্যায়বিচারের প্রতীক। এ জন্য এটাই স্বাভাবিক যে, জন্মের সময় থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক ফোরামে সমতা ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সকল প্রয়াসে সমর্থন দিয়ে আসছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে কেউ দারিদ্র্যের অভিশাপে দুর্ভোগ পোহাবে না এবং সবার মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, উন্নত ও মানসম্মত জীবনযাপনের সুযোগ পাবে। এ ধরনের আত্মত্যাগ আমি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছি।’

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশগুলোর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিবন্ধে বলেন, প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে। এর মধ্যে ভারত মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সরকার ও জনগণ মুক্তিযুদ্ধে এক কোটি শরণার্থীকে খাদ্য ও আশ্রয়সহ সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে- যা আমাদের বিজয় অর্জন ও দেশকে দখলদার মুক্ত করতে সহায়ক হয়। ভারতের সরকার ও জনগণ পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতেও ভূমিকা পালন করে।

বাংলা৭১নিউজ/এন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com