বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ১৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে লজ্জাজনক হার উপহার দিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেয়া ৩৩৯ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫৮ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন হৃদিক পাণ্ডে। তিনি ৪৩ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রান আউটের শিকার হন।
পাকিস্তানের দেয়া ৩৩৯ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে চাপের মুখে পড়ে কোহলিরা। মাত্র ৩৩ রানে প্রথম তিন উইকেট পতন হয়।একে একে প্যাভিলিয়নের ফিরে যায়।
আমির এ পর্যন্ত ৬ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেটই নিজের ঝুলিতে নিয়ে ভারতকে চাপের মুখে ফেলে দেন। এর মধ্যে দুটি মেডেন ওভারও রয়েছে। এছাড়াও শাদাব খান ২টি গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট শিকার করলে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। এছাড়াও হাসান আলী ও জুনায়েদ খান পেয়েছেন একটি উইকেট।
রোববার ওভালে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আলোচিত দ্বৈরথে টসে জয়লাভ করেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান।
ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে সরফরাজ বাহিনী।
ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আজহার আলী ও ফখর জামান। ওপেনিং জুটিতে আসে ১২৮ রান। এরপর ব্যক্তিগত ৫৯ রানে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজহার আলী। তবে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ফকর জামান।
সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস আর লম্বা করতে পারেননি। তিনি ১১৪ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন। ৩টি ছয় ও ১২টি চারের মারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। এরপর দ্রুতই ফিরে যান শোয়েব মালিক। তিনি ১২ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বেল সাজঘরে ফেরেন।
বড় ইনিংস খেলার স্বপ্ন দেখালেও ৪৬ রান করে কেদার যাদবের বলে সাজঘরে ফেরেন বাবর আজম। শেষদিকে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান মোহাম্মদ হাফিজ।
তিনি ৩৭ বলে ৩ ছয় ও ৪টি চারের সাহায্যে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম খেলেন হার না মানা ২৫ রানের ইনিংস।
৩৩৯ রানের বিশাল পাহাড় ডিঙাতে খেলতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। লেগ বিফোরের শিকার হন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নেন আমির। তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কোহলি। তবে তা ধরতে ব্যর্থ হন আজহার। পরের বলেই পয়েন্টে ক্যাচ দেন কোহলি। তবে এবার আর ভুুল করেননি শাদাব খান। দলীয় ৬রানে ফিরে যান কোহলি (৫)।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস