ভারতের চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বোধন হলো বঙ্গবন্ধু কর্নার। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আর এস বাওয়া, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শতবীর সিং শেগাল, পরিচালক (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) অধ্যাপক ড. রঞ্জন শর্মা, হাইকমিশনারের সহধর্মিণী ড. জাকিয়া হাসনাত ইমরান, মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদসহ দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল উৎসব আয়োজন।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনায় বক্তব্য দেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আর এস বাওয়া।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রীর পক্ষে বাংলাদেশি দুই শিক্ষার্থী রবিউল আমীন রুবেল ও সূত্রধর হাইকমিশনারকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতির মহান নেতাই নন, তিনি ছিলেন বিশ্বনন্দিত নেতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে ভারতের ঐতিহাসিক অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনের কারণে ভারতের এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও আলোকিত জীবন অধ্যায় সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাবে। বঙ্গবন্ধু কর্নারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ওপর রচিত রাজনৈতিক দলিল গ্রন্থসহ বিভিন্ন ভাষায় রচিত বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর প্রকাশিত বইগুলো সরবরাহ করা হয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
হাইকমিশনার চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর উদ্দেশে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে এখন পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে। আশা করি চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়েও বঙ্গবন্ধু এখন গবেষণার বিষয় হবে, নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে বঙ্গবন্ধু কেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। ‘
প্রো-চ্যান্সেলর বলেন, ‘চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করায় আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বঙ্গবন্ধু কর্নার থেকেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিন বঙ্গবন্ধু স্টাডি সেন্টারে পরিণত করব। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের মহানায়ক নন, ভারতের মানুষের কাছেও মহানায়ক। ‘
বঙ্গবন্ধুর কর্নার উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে বাংলাদেশ থেকে আগত সাংস্কৃতিক দলের সংগীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠান শেষ হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এবি