বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করতে আগামী ২৫ মে শান্তিনিকেতন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বর্ধমানের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে বিশেষ সম্মানিক ডিগ্রি দিচ্ছে। শান্তিনিকেতনের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও থাকতে পারেন বলে বিশ্বভারতী সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শান্তি নিকেতন সফরের বিষয়টি বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবুজ কলি সেনকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনা ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গ এসে বর্ধমানের চুরুলিয়ায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সম্মানিক ডিগ্রি নেবেন। পরদিন শান্তিনিকেতনে যাবেন শেখ হাসিনা।
কলকাতা শহর থেকে ১৮০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত শান্তিনিকেতন শহরে রবীন্দ্র নাথ প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে মঙ্গলবার (মে) বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল শান্তিনিকেতনে যাচ্ছে। ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
আধুনিক মানের ভবনটিতে অডিটোরিয়াম, মিউজিয়াম এবং গবেষণার সুবিধা রয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রীআসাদুজ্জামান নূর এক প্রতিনিধি দল নিয়ে ভবনের সর্বশেষ অবস্থা দেখে এসেছেন।
উপাচার্য সবুজকলি জানান, বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ভবনে অডিটোরিয়াম, মিউজিয়াম এবং গবেষণাগারের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি মুর্যাল তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ করলেও কবিগুরুর কোনও ভাস্কর্য স্থাপনের রীতি বিশ্বভারতীর নেই উল্লেখ করে সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনও ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে না বলেও জানান বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়ার পর দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কলকাতার উপদূতাবাসের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৪৫টিরও বেশি পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ