পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নুরুন নবী মন্ডল ও বিদ্রোহী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া দুটি মোটরসাইকেলসহ উভয় পক্ষের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙ্গা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আহসান পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিঠুর পোস্টার ও ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের দোহারী গ্রামে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী নুরুন নবী মন্ডল বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী সর্মথকরা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে আমার লোকজনকে মারধর করেছে। আমরা তার পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছি। তাদের মারধরে আমাদের অনেক লোক আহত হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন মিঠু বলেন, নৌকার প্রার্থী যুবলীগ নেতা হওয়ায় এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছেন। তার সমর্থকরা আমার লোকজনকে প্রচারণায় বের হতে দিচ্ছে না। পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না। নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ওঁৎ পেতে রয়েছে আমার লোকজনকে মারধর করার জন্য।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ঘটনা শুরুর পর থেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ ওই এলাকায় রয়েছে। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ রাখা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের একটি বিশেষ টিম ইউনিয়নের সার্বিক এলাকা টহল ও পর্যবেক্ষণ করছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ