ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে পৌরসভার খাড়াকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত চারজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২৪ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খাড়াকান্দি গ্রামের হেমায়েত মাতুব্বরের পক্ষের আজগর মাতুব্বরের সঙ্গে কয়েকদিন আগে মফিজুর রহমান ডাক্তার পক্ষের দেলোয়ার মাতুব্বরের বালু ভরাটের চুক্তি হয়। চুক্তি ভঙ্গ করায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আজগর ও দেলোয়ারের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
ওই ঘটনার জেরে আজ সোমবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন ঢাল, সরকি, টেঁটা, রামদা ও ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা-পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার বিষয়ে দেলোয়ার মাতুব্বর বলেন, ‘আমার জমিতে বালু ভরাট করতে গেলে হেমায়েত, আজগর, রিপন ও নাদান টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে আমার বাড়িতে গতকাল হামলা চালিয়েছেন। আমরা ঘর থেকে বের হতে চাইলে আমাদের মারধর করার পায়তারা ও হুমকি দেন তারা।’
তবে অপরপক্ষের শাহ আলম শেখ বলেন, দেলোয়ার মাতুব্বর বালু নিতে আজগর মাতুব্বরের সঙ্গে চুক্তি করেন। আজগর বালু ফেলাতে সবরকম প্রস্তুতি নেন এবং অনেক টাকা বিনিয়োগ করেন। সেই মুহূর্তে দেলোয়ার মাতুব্বর বালু দিতে নিষেধ করে দেন। এ নিয়েই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক দেলোয়ার মাতুব্বরের পক্ষ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।’
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ