বাংলা৭১নিউজ,(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:বাগেরহাটের শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার (০৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে বগি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয় এসব ঘরবাড়ি।
২০ মে (বুধবার) বাংলাদেশের উপকূল জুড়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পানি নেমে যাওয়ার পরে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল ওই এলাকার জনজীবন।
পূর্ণিমার কারণে বর্তমানে বলেশ্বর নদীতে পানির চাপ বেশি। যতদিন পানির চাপ বেশি থাকবে ততদিন জোয়ার ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে পানিতে প্লাবিত এলাকার মানুষদের।
খুব শিগগিরই ভাঙা বাঁধগুলো মেরামত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তাফা শাহিন।
এদিকে বারবার ঝড় জলোচ্ছ্বাসে জানমাল হারানো শরণখোলাবাসী বলছেন, অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি, অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ হয়নি। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে পানিতে ভেসে যাই।এভাবে আর কতদিন। ছেড়ে দিয়েছি বাঁধ নির্মাণের আশা। এভাবে যতদিন থাকা যায়।
বগী গ্রামের শাহজাহান বলেন, আম্পানের ফলে পানিবন্দি ছিলাম কয়েকদিন। অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করেছি। কিন্তু আজ আবার হঠাৎ করে জোয়ারের পানিতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হলো। এভাবে হতে থাকলে আর কয়দিন বাঁচা যাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এখন থেকে পানি না কমা পর্যন্ত এখানের মানুষদের জোয়ার-ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে।রান্না বান্নার কাজ রয়েছে বন্ধ।যাদের সুযোগ রয়েছে তারা নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে।পানি কমলে আবার আসবে।এ অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে এই এলাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তাফা শাহিন বলেন, খুব শিগগিরই বাঁধের ভাঙা স্থানগুলোর মেরামত শুরু হবে। যাতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি আর ঢুকতে না পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।
২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার বগি ও গাবতলা গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধ বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএ