বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে এমপি ডাঙ্গী গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেইন সড়ক, মসজিদ ও মাদ্রাসার সামনে শুক্রবার পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙন চলছে। মাত্র একদিনে শূন্য বসতভিটে, মাঠী জমি ও বৃক্ষ বাগান মিলে প্রায় ৫ একর জমি বিলীন করে রাক্ষুসী পদ্মা নদী মেইন সড়ক ঘেষে অবস্থান করছে। এতে উক্ত গ্রামের মেইন সড়ক সহ পাশের স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বসতি পরিবারগুলো পদ্মা নদী মুখে চরম হুমকীর মধ্যে রয়েছে। এ খরব পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, বিভাগীয় প্রকৌশলী জহির উদ্দিন ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ.জি.এম বাদল আমিন ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান,“ যেহেতু উপজেরলা পদ্মা রক্ষা স্থায়ী বাঁধ নির্মান প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। তাই আসছে শীত মৌসুমেই বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হবে। আপাততঃ অত্র রাস্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার জন্য জরুরী ভিক্তিতে পদ্মা পারে জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে”।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, উপজেলার এমপি ডাঙ্গী গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববতী ফাজেলখার ডাঙ্গী ও বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পদ্মার ভাঙন রক্ষার জন্য গত ক’দিন আগে ফাজেলখার ডাঙ্গী ও বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে নদী পাড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ১১ হাজার জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা মাত্র পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। উক্ত গ্রামের প্রায় অর্ধ কি.মি. বেড়িবাঁধ সহ একটি পাকা মসজিদের অর্ধাংশ বিলীন হয়ে গেছে।
এ ব্যপারে উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ কাউছার অভিযোগ করে বলেন, “ অত্যান্ত নি¤œমানের পদ্মা চরের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার ফলে ভাঙন কবলিত পদ্মা নদীর কোনো প্রতিরোধ হচ্ছে না”। আর ফরিদপুর পাউবো’র দায়িত্বরত বিভাগীয় প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, “ আল্লাহায় না রাখলে জিও ব্যাগে পদ্মার ভাঙন রোধ হয় না”।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস