বাংলা৭১নিউজ, চট্টগ্রাম : রাঙামাটি শহরের সরকারি মহিলা কলেজ সড়কে একটি দ্বিতল ভবন কাপ্তাই হ্রদে হেলে পড়ে চারজন নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম (৪০), তার মেয়ে পিংকি (১৩) ও ছেলে হামাদুল (৭) এবং উম্মে হাবিবা (২২) নামের অপর এক নারী।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে ৫টায় রাঙামাটি সদরে মহিলা কলেজ সড়কের হ্রদের পাড়ে অবস্থিত নইমউদ্দিন টিটু ঠিকাদারের মালিকানাধীন দ্বিতল ভবনটি হেলে পড়তে শুরু করে। মাত্র ১০ মিনিট সময়ের মধ্যে ভবনটির নিচতলা পুরোটাই হ্রদের পানির নীচে চলে যায়।
এ সময় ভবনের দুটি ফ্লোরে অন্তত চারটি পরিবার আটকা পড়ে। তবে পাশের একটি নারিকেল গাছের কারণে পুরো ভবন তলিয়ে যেতে পারেনি। তখন ভবনের কয়েকজন বাসিন্দা বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।
ফায়ার সার্ভিস স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুটি পরিবারের দুই নারী ও দুই পুরুষ সদস্য এবং এক কিশোরীকে বের করে আনে। এরপর তাদের রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে হাসপাতালে আরো একজন মারা যায়। এছাড়া রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ভবনের ভিতর থেকে শিশু হামাদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রুবি আক্তার নামে এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বিকাল থেকেই ভবনটির সড়কের পাশের মাটি সরছিলো এবং ভবনটি ধীরে ধীরে হেলে পড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে বিকট শব্দে ভবনটি হেলে পড়ে এবং হ্রদের পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে।
কাপ্তাই থেকে নৌ বাহিনীর একটি দল রাত আটটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
ঘটনাস্থলে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান উপস্থিত থেকে উদ্ধার প্রক্রিয়া তদারকি করছেন। তবে রাত হওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার পর ভবনের মালিক নঈমউদ্দিন টিটু পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ। তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
রাঙামাটি পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, যে ভবনটি হ্রদে পড়ে গেছে তার কোনো অনুমোদন নেই।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস