জরুরি বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ২০০৯ দেশে ‘কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট’ চালু করা হয়েছিল। এটি চালু করতে যে আইন তৈরি করা হয়েছিল, তার মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান)(সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তিনি বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ঘাটতি মোকাবেলায় ২০১০ সালে বিশেষ আইনটি করার পর এর মধ্যেই কয়েকবার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। বর্তমান মেয়াদ ছিল ২০২১ পর্যন্ত।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় অতি দ্রুত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদী ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শুরু করে। এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে নতুন আইনটি করা হয়।
সরকারের দাবি, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বেড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয়। তবে এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। ফলে এটি নিয়ে সমালোচনাও উঠেছিল।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সেটা যাতে আমরা নির্বিঘ্নে সরবরাহ করতে পারি। এজন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত এটার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
২০১০ সালে প্রণীত বিদ্যুৎ-জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনটির মেয়াদ একাধিকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ