শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নুরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের বিশেষ সেল গঠন মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে : এম সাখাওয়াত ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল সিলেটে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৬, সেই বাসচালক গ্রেফতার বিএসএফের বাধার মুখে পড়া মুহুরী নদীর সেই সেচ পাম্প চালু বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের নিজে নন, শাহিন আফ্রিদির চোখে বাংলাদেশিরাই বড় তারকা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, বেনজীরের কেয়ারটেকারসহ গ্রেপ্তার ৪

ব্রিজের অভাবে ভুগছে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে একটি ব্রিজের অভাবে তমরদ্দি ইউনিয়নের জোড়খালী ও কোরালিয়া গ্রামের দশ হাজার মানুষ ৫০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

ওই এলাকার পশ্চিমাংশে মেঘনা নদী, দক্ষিণ পাশে কাঁচা রাস্তা ও পূর্বপাশে চলাচলের অনুপযোগী বেড়িবাঁধ রয়েছে। ফলে উত্তর পাশে থাকা একমাত্র সাঁকো দিয়ে পারাপার ছাড়া কোনো উপায় নেই ওই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের।

স্থানীয়রা জানান, জোড়খালী ও কোরালিয়া গ্রামের অধিকাংশই কাঁচা রাস্তা। বর্ষায় চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া সাঁকো পেরিয়ে পাকা রাস্তা হয়ে উপজেলা সদর ও অন্যান্য জায়গায় যাতায়াত করতে হয়। ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার তমরদ্দি হওয়ায় বিভিন্ন কারণে লোকজনকে সাঁকো পার হয়ে যেতে হয়। তাছাড়া এই দুই গ্রামে কোনো উচ্চ বিদ্যালয় নেই। তাই শিক্ষার্থীদের সাঁকো পার হয়েই তমরদ্দি বাজারের স্কুলে যেতে হয়।

জানা গেছে, স্বাধীনতার আগে বা পরে কোনো একসময় কাটাখালী খালের ওপর নির্মিত হয় এই সাঁকো। বংশানুক্রমে একটি পরিবার এই সাঁকোর দেখভাল করে আসছে। বংশ পরম্পরায় এখন এটি জোড়খালী গ্রামের কামাল উদ্দিন (৫০) দেখাশোনা করে আসছেন।

স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী মো. নুরনবী জানান, এই সাঁকো পার হয়েই উপজেলা সদর ও ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার তমরদ্দি যেতে হয়। কিন্তু এটি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই সাঁকো পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটে। গত সপ্তাহেও সাঁকো পার হতে গিয়ে খালে পড়ে এক স্কুলছাত্রী আহত হয়েছে।

 

এছাড়া চিনির বস্তাসহ খালে পড়ে রিয়াজ উদ্দিন (৩৫) নামে একজনের কোমরের হাড় ভেঙে গেছে। দুই মাস পেরোলেও এখনো তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেননি বলে জানান ওই দোকানি।

তমরদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ উদ্দিন বলেন, এই সাঁকো দিয়ে আমি ছোটবেলায়ও পার হয়েছি। এটির বয়স প্রায় ৫০ বছর। সম্প্রতি সাঁকোর স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে একাধিকবার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি।

হাতিয়া উপজেলা প্রকৌশলী তপন চন্দ্র দেব নাথ বলেন, কাটাখালী খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করে দরপত্র আহ্বান করা হবে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ব্রিজটি হয়ে যাবে।

বাংলা৭১নিউজ/পিকে

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com