ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম আশিক (২৭) খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে নিহত আশিকের বাবা আশরাফ উদ্দিন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, আশিকের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় প্রধান আসামী রায়হান মিয়া ওরফে সোহান (২১) ও সাফিন আহমেদ জুনায়েদ (২১) রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শহরের অবকাশ এলাকায় রায়হানের নেতৃত্বে ছুরিকাঘাত করে আশিকুল ইসলাম আশিককে খুন করা হয়। পরে সন্ধ্যায় শহরের শিমরাইলকান্দি রেললাইন এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ আটক করা হয় প্রধান অভিযুক্ত রায়হান মিয়া ওরফে সোহানকে। আটক রায়হান পৌর এলাকার ভাদুঘরের শিরু মিয়ার ছেলে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ মৌড়াইল এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে সাফিন আহমেদ জুনায়েদকেও আটক করে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সভাপতি আজহারউদ্দিন জানান, আশিক সাংবাদিকতার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিল। অজ্ঞাত মরাদেহ দাফন ও রক্তদানে আশিক সবসময় সামনের সাড়িতে থাকতো। সোমবার বিকেলে শহরের অবকাশ পার্কে আমাদের সংগঠনের মাসিক সভা ছিল। সভা শেষে আমরা রিকশা যোগে ফিরে আসছিলাম। আশিক আমার পেছনের একটি রিকশায় ছিল।
আমরা কিছুটা যাওয়ার পর পাবলিক লাইব্রেরির সামনে রায়হান নামের একটি ছেলেসহ আরও কয়েকজন দৌড়ে এসে আশিকের শরীরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ