সাপ্তাহিক ছুটির পর ব্যাংক খুললে লেনদেনের সময় কম হওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অধিকাংশ ব্যাংকে মানা হচ্ছে না নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব। আজ রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান এলাকার ব্যাংকগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুক্রবার ও শনিবার একটানা দুই দিনের ছুটিতে বন্ধ ছিলো ব্যাংক। তারপর করোনার সংক্রমণ রোধে ব্যাংকিং সময় (সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত) আড়াই ঘণ্টা করা হয়েছে। ১৪ এপ্রিল থেকে আসছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। এসব কিছু মিলিয়ে গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন ও জমা দিতে ভিড় করেছে ব্যাংকগুলোতে।
সকালে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। সব গ্রাহক মিলে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে অপেক্ষা করছেন। সাধারণ লেনদেনকারীদের কাউন্টারগুলোতে মোটামুটি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে অপেক্ষা করা হলেও সঞ্চয়পত্র কেনা-বেচার কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রাহক।
এদিকে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকারদের। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন লেনদেনের সময় কমানো হলেও গ্রাহক কমেনি। তাই যতক্ষণ গ্রাহক থাকে ততক্ষণ লেনদেন করতে হচ্ছে।
সাধারণ লেনদেনের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র ক্রয় ও সুদের টাকা তোলার জন্য লম্বা লাইন দেখা গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসসহ সরকারি ব্যাংকের শাখাগুলোতে।
রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যবিধির অংশ হিসেবে আমরা সব সময় গ্রাহককে শাখায় প্রবেশের আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রেখেছি। লেনদেনের জন্য নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে অপেক্ষা করতে বলেছি।
বাংলা৭১নিউজ/এএম