বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: খালেদা জিয়ার দুর্নীতির একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ব্যস্ততম নগরী ঢাকায় আজ নেই তেমন ব্যস্ততা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কায় খুব প্রয়োজন ছাড়া আজ নগরবাসী বাইরে বের হচ্ছে না। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও অনেক কম।
অনেক স্কুল-কলেজও বন্ধ রয়েছে। ফলে ঢাকা কার্যত ফাঁকা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবা ‘পাঠাও’, ‘উবার’ ও ‘ইজিয়ার’ বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকেই রাজাধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো প্রায় ফাঁকা। ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলী এলাকাও অনেকটা ফাঁকা। ঢাকার বাইরে থেকে দূরপাল্লার গাড়ি আসছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। গাবতলীতে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এখানকার নিরাপত্তা চৌকিতে দায়িত্বরত দারুসসালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুকুল আলম বলেন, ‘এখানে সবকিছু স্বাভাবিক আছে। আমরা প্রতিটি যানবাহন তল্লাশি করছি। বাসের লাগেজ বাক্সও তল্লাশি করে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাবতলীর স্থায়ী চেক পোস্ট এটি। সবসময়ই চেকিং করা হয়, তবে আজকে আমরা একটু বেশি নজর রাখছি।’
গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত গাড়ি থাকলেও যাত্রীর খুব একটা নেই। তাই গাড়ি ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে র্যাব।
র্যাব-২ এর এএসপি সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়েও ভালো। তবে মানুষের মধ্যে চাপা আতঙ্ক কাজ করছে। এ কারণে পর্যাপ্ত যানবাহন থাকলেও যাত্রী কম। তাই গাড়ি ছেড়ে যেতে পারছে না। খুব জরুরি কাজ ছাড়া কেউ আসছেন না।’
সোহাগ পরিবহনের গাবতলী কাউন্টার ম্যানেজার মঈন উদ্দিন জানান, গাড়ি আছে তবে যাত্রী নেই। পরিবহন মালিক সমিতির অফিসেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
মিরপুর ৬, ১১, ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর ও ভাষাণটেক এলাকায় অন্যান্য দিন রাস্তায় অনেক গাড়ি থাকে। আজকে রাস্তায় গণপরিবহন খুবই কম। রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও কম দেখা গেছে। গণপরিবহন কম থাকায় সকালে স্কুল ও অফিসগামীদের রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। টেম্পু ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা কিছুটা বেশি। তবে রাস্তায় অসংখ্য পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের দেখা গেছে।
ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট, শাহবাগেও তেমন একটা ভিড় নেই। যানবাহনের সংখ্যাও খুব কম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে গণপরিবহনের সংখ্যা অনেক কম। স্বাভাবিকের তুলনায় আজ পুলিশের উপস্থিতি অনেক বেশি।
সদরঘাট ঘুরে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। ঘাটে লঞ্চ দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রী নেই বললেই চলে। অন্যসব দিন এই সময়ে লোকে লোকারণ্য থাকে সদরঘাট। তবে আজকের চিত্র ভিন্ন।
সকাল ১০টায় এম ভি বিলাল নামে একটি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা। লঞ্চটিতে দুই-একজন যাত্রী রয়েছে। যাত্রী না থাকলেও লঞ্চগুলো সময় মতো সদরঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।
নৌ পুলিশের ডিআইজি শেখ মোহমাম্মদ মারুফ আছে। সদরঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এখনও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
যাত্রী ও লঞ্চ শ্রমিকরা জানিয়েছে, ভোর ৪-৫টার সময় আসা লঞ্চগুলোকে নদীর মাঝ পথেই ট্রলারে করে এসে কিছু লোক বাধা দেয়। তবে এধরনের কোনও খবর পাননি বলে জানিয়েছেন ডিআইজি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস