বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ঢাকার কেরাণীগঞ্জের টিনের ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া হত্যা মামলায় তিন আসামিকে ফাঁসি ও সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোসা. কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যাকা-ের এক যুগ পর এ রায় ঘোষণা করা হল।
রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন- মারুফ হোসেন, টিটু ও লিটন। আর যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলেন- আমজাদ হোসেন লিটন, সাব্বির, আব্দুল গণি, ওয়াসিম কসাই, স¤্রাট, নান্টু ও নবাব । রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে টিটু, লিটন, স¤্রাট ও নবাব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ১৮ জুন সকালে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় বাচ্চু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চাঁদার ২০ লাখ টাকা না দেয়ায় এ হত্যাকা- ঘটে। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সূত্র আরও জানায়, আসামিরা ওই এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিল। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। বাচ্চুর বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের ঢেউটিনের দোকান ছিল। ডাকাত শহিদ ও তার দল সিরাজুল ইসলামের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ডাকাত শহীদের নির্দেশে তার সহযোগীরা দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকা সিরাজুলের ছোট ভাই বাচ্চু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে।
এ মামলায় আসামি টিটু ও লিটন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া বাচ্চু হত্যার প্রধান আসামি ডাকাত শহীদ র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। ২০০৭ সালের ১৪ ফেব্র্রুয়ারি কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সুলতান উদ্দিন আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত ২১ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস