শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রামের উন্নয়নে ৩ খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন ডা. শাহাদাত তিনদিনের মধ্যে এনআইডির ক্যাটাগরি করতে ইসির নির্দেশ বান্দরবানে কেএনএ’র বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান বেনাপোলে চালু হলো কার্গো টার্মিনাল, কমবে ভোগান্তি বাড়বে বাণিজ্য জাবি থেকে সরানো হলো শেখ মুজিবের ছবি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে সংস্কার চান তারেক রহমান শহীদ আবদুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা সাখাওয়াত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচিতি সভায় পদবঞ্চিতদের হামলা ৩০ নভেম্বরের পর আর হজের নিবন্ধন করা যাবে না প্রকৃতির পরিচর্যা করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে : হাসান আরিফ ড. ইউনূসকে বই উপহার দিলেন ব্রাজিলের উপরাষ্ট্রপতির স্ত্রী ঢাবি ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ হিউম্যান রাইটসের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আহতদের পুনর্বাসন করা হবে: সালাউদ্দিন ঢামেকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে শ্রম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সোলাইমান বললেন, শেখ হাসিনা আবার আসবেন ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করছে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর, ফি বেড়েছে ১০০ টাকা কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, ১৮৭ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ

ব্যক্তিগত ফান্ডকে সরকারি ফান্ড দেখাতে জাল নথি তৈরি: খালেদা জিয়ার আইনজীবী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কুয়েতের আমিরের দেওয়া ব্যক্তিগত ফান্ডকে সরকারি ফান্ড বানানোর জন্য জাল নথি তৈরি করা হয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আজ ষষ্ঠ দিনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় আদালতে তিনি এ কথা বলেন।

আগামীকালও খালেদা জিয়ার পক্ষে এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে হাজির হন খালেদা জিয়া। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান বেলা তিনটার দিকে কাল পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, জাল দলিল তৈরি করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ। আর এই জাল নথির সপক্ষে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন হারুন-অর-রশিদসহ পাঁচজন সাক্ষী।

মামলার এজাহারের তারিখ, অনুসন্ধানের তারিখ ও অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ করার কথা। অথচ ৩৯৫ কার্যদিবস সময় নেওয়া হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে জাল দলিল তৈরি করা হয়।

এ ছাড়া রুলস অব বিজনেস, সচিবালয় নির্দেশমালা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কার্যবিবরণীর বিভিন্ন ধারা তুলে ধরে সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী যেভাবে অতিরিক্ত নথি তৈরির কথা, তা সেভাবে করা হয়নি। নথির গতিবিধি-সংক্রান্ত বিধানও অনুসরণ করা হয়নি। এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাবেক মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত সচিব সৈয়দ জগলুল পাশার এতিম তহবিলসংক্রান্ত নথি দেখার কোনো এখতিয়ারই ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জব্দ করতে হলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হয় আদালতকে জানান মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি জব্দের সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর কারণ জাল নথি তৈরি করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সাক্ষী মিলে জাল নথি তৈরি করেছেন। সাদা কাগজের ওপর হাতে লেখা এসব নথি কেন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে, তিনি প্রশ্ন রাখেন আদালতের কাছে।

মামলার সাক্ষী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তৎকালীন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাজেদ আলীর জবানবন্দি ও জেরা পড়ে শোনান সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, জেরার জবাবে মাজেদ স্বীকার করেছেন, এতিম তহবিলসংক্রান্ত নথি কে ঘষামাজা করেছেন, তা বলতে পারবেন না। তিনি (মাজেদ) নিজে কোনো নথি তৈরি করেননি। আদালতের কাছে মেহাম্মদ আলী প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন এমন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হলো?

মামলার সাক্ষী সাবেক মুখ্য সচিব আসামি কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীর জবানবন্দি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব তৌহিদুর রহমান খানের জবানবন্দি ও জেরা পড়ে শোনান মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, সৈয়দ জগলুল পাশার অতিরিক্ত নথি খোলার কোনোর সুযোগ নেই।

এর আগে এ মামলায় খালেদা জিয়ার দুজন আইনজীবী তাঁদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তৃতীয় আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রেখেছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১৯ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে তিনি আদালতের কাছে এ মামলায় খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয় আসামিরই সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চান। ২০ ও ২১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে আবদুর রেজাক খান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। শেষ না হওয়ায় আদালত আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তাঁর আইনজীবী আবদুর রেজাক খান। তিনি আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় দুদকের পক্ষে এতিম তহবিলের যে নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, তা হাতে লেখা। তিনি দাবি করেন, ওই নথিপত্র ঘষামাজা করা ও স্বাক্ষরবিহীন। কোনো মূল নথি পাওয়া যায়নি। ওই লেখা কার তা কেউ বলতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কেউ শনাক্ত করেননি।

২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক এ মামলা করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এ মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com