বাংলা৭১নিউজ, মুসাফির নজরুল, মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরার চার উপজেলার বোরো ধান ঘরে তুল এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক চাষীরা। হঠাৎ করে ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হওয়ায় ধান কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এ মৌসুমে জেলায় বোরো ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্র্র্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা, ও মহম্মদপুর উপজেলায় আনুমানিক ৪৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাগুরা সদরে ২৪ হাজার ৯ শ’ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় এক হাজার ৮ শ’ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ১২ হাজার ৬ শত ৫০ হেক্টর এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৮ শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসের মধ্যে শতভাগ জমির ধান কাটা হয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন।
সরোজমিনে মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ পাকা বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। তবে চাষীরা জানান অন্যবারের তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। তাছাড়া চলতি মৌসুমে একজন শ্রমিককে দিনে তিন বেলা খাবারসহ ৭০০-৭৫০ টাকা দিতে হচ্ছে।
মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের বোরো ধান চাষী সিরাজুল ইসলাম জানান, এ বছরে ৬ একর জমিতে তিনি বোরো ধানের চাষ করেছেন, ফলনও আশানুরূপ ছিলো, কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা ও ঘরে তোলা নিয়ে তারা চিন্তিত।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা জানান, জেলার ধান পাকার আগ থেকেই কৃষকদের মাঝে জেলার কৃষি উপ-সহকারীরা নানা পরামর্শ দিয়ে আসছেন। জেলার প্রায় শতভাগ জমির ধান পেকে গেছে। বরাবরের মতো এ বছরও মাগুরায় বোরো আবাদ ভালো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের মধ্যেই চাষীরা সব ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস