বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বোনের সমস্যা সমাধানের জন্যই কাকরাইলে মা-ছেলেকে হত্যা করে আল-আমিন জনি। জনি ব্যবসায়ী আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তার ভাই।
গ্রেফতার হওয়ার পর জনি র্যাবকে জানিয়েছেন, তার বোন ঢাকায় আসার পর তিন-চার মাস আগে করিমের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তিন-চার দিন আগে মুক্তা আত্মহত্যারও চেষ্টা চালান।
বোনের এসব সমস্যার জন্য করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহারই দায়ী বলে মনে করে জনি। এজন্যই শামসুন্নাহারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। শামসুন্নাহারের ছেলেকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও মাকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারায় শাওন।
আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জনি ৩১ অক্টোবর নিউমার্কেট থেকে একটি ধারালো অস্ত্র কেনে। হত্যার দিন (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সে ওই বাড়িতে যায়। গৃহকর্মী দরজা খুলে দেয়। এরপর গৃহকর্মী রান্নাঘরে ঢুকলে রান্নঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে দেয় জনি। এ সময় শামসুন্নাহার ও তার তৃতীয় সন্তান শাওন বাসায় ছিলেন।
মুফতি মাহমুদ বলেন, জনি তাদের ঘরে ঢুকে শাওনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে বলে, ‘এখানে বসে থাক। আমি তোমার মায়ের সঙ্গে কথা বলব।’ এরপর সে শামসুন্নাহারকে একের পর এক ছুরিকাঘাত করে। শাওন মাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তার গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে জনি। শাওন দৌড়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে সে সিঁড়িতে পড়ে যায়। এদিকে, বাসা থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে জনি দারোয়ানকে বলে– ওপরে ঝামেলা হচ্ছে, আপনি যান। বলে সে ভবন থেকে বেরিয়ে আসে।
আজ র্যাবের অভিযানে গোপালগঞ্জ থেকে আল-আমিন জনিকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় কাকরাইলের তমা সেন্টারের গলির কাছে ৭৯/১ বাড়ির পাঁচতলা থেকে মা শামসুন্নাহার ও তার ছেলে শাওনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী খোকন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস