দেশের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে আরও বেশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরকে অনুরোধ করবো আরও বেশি সরকারের সঙ্গে কোলাবোরেশান করে নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসার। আপনাদের অনুরোধ করবো সরকারের সঙ্গে আরও বেশি কোলাবোরেশান করার জন্য।
রোববার (১২ মার্চ) সকালে লিভারেজিং গ্রোয়িং মিডল অ্যান্ড এফুলেন্ট ক্লাস ফর এ ভাইব্রেন্ট কনজুমার গুডস সেক্টর শীর্ষক এক সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। শৃঙ্খলা এসেছে ই-কমার্স খাতে। ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে কাজ করছে দেশ। এ বিনিয়োগে আমাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে এফবিসিসিআই।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাবারের ব্যবসার সনদ নিতে গেলে ১৭টা কর্তৃপক্ষের পারমিশন বা সনদ নেওয়া লাগে, যা অনেক কষ্টক। এটা আমিও মনে করি। কিন্তু খাদ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হওয়ায় এখানে অনেক বেশি সতর্ক থাকা লাগে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও জাবেদ আখতার বলেন, আমরা শুধু শহরে ফোকাস করে আছি। কিন্তু ৬০ শতাংশ মানুষ গ্রামে আছে সেখানে আমরা ফোকাস করি না।
এমসিসিআই সভাপতি মো. সায়ফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এমন পণ্য তৈরি করতে হবে যেন অন্যান্য দেশ এসব পণ্য খুঁজে এবং সেগুলো ব্যবহার করতে উদ্ভুদ্ধ হয়।
বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন সোসাইটির চেয়ারম্যান নকিব খান বলেন, ফুড সাপ্লাই চেইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পায় না। খাদ্য নিরাপত্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এ জায়গায় আমাদের অনেক মনোযোগ দিতে হবে।
এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম মনজুর বলেন, আমরা চামড়া খাতে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। অনেক কোলাবোরেশান করছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবরেট করেছি। আরএমজি খাত যেভাবে এগিয়েছে যদি তা না হতো আমরা এখানে আসতে পারতাম না। গবেষণাতে কোনো ট্যাক্স ইনসেন্টিভ নেই, তাই এটাই উপযুক্ত সময় আরও বেশি গবেষণার মাধ্যমে আমরা খাতগুলোকে এগিয়ে নিতে পারি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ম্যারিকো বাংলাদেশের এমডি রজত দিবাকর, সিঙ্গার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও এম এইচ এম ফাইরুজ প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ