বাংলা৭১নিউজ,বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল ও যশোর‘র নাগরিক সমাজ গাছ রক্ষা নয়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি ৪ লেইন দেখতে চায়। সময়ের প্রয়োজনে গাছ কেটে ফেলেই সড়কটি অধিকতর প্রশ¯ত করার ব্যাপারে জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে আজ শুক্রুবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৫ সদস্যের সাব কিমিটি বেনাপোল-যশোর মহাসড়ক সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরে বেনাপোল পর্যটন মোটেলে স্থাণীয় ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিণœ সংগঠনের সাথে মত বিনিময় করেছেন।
রাস্ট্রপতির পুত্র সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক এর নেতৃত্বে সংসদ সদস্য এ কে এম এ আওয়াল, সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম,ও সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন সভায় উপস্থি ত ছিলেন।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন, যশোর এর উদ্যোগে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাছ রেখে রা¯তা প্রশ¯ত করলে শত শত একর কৃষি জমি নষ্ট, কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ও শেঁকড়ের কারণে ভবিষ্যৎ ঝুঁকিপূর্ন হবে বলেও মত প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ঐতিহ্য স্মারক বৃক্ষ রক্ষার দাবিতে দেয়া আইনি নোটিশ এবং হাইকোর্টে দাখিল করা রিটটিও তুলে নেয়ার দাবি তোলা হয়েছে। এর আগে সকালের দিকে বেনাপোল বšদর এলাকায় বিভিন্ন পেশা জীবি সংগঠন , বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশন, বেনাপোল প্রেস ক্লাব, ও বিভিণœ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মানব ব›ধন করেছেন।
বেনাপোল আšতর্জাতিক মানের স্থল বন্দর হওয়ায় এখানে আমদানি-রফতানি অন্য সব বন্দর থেকে কয়েকগুন বেশি। যে কারণে এই সড়কটিতে যানবাহনের ব্যাপক চাপ দেশের অন্য সকল সড়ক মহাসড়কের তুলনায় সর্বাপেক্ষা বেশি। প্রতিদিন কয়েক হাজার ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন আসা যাওয়া করে।
এশিয়ান হাইওয়ের এই সড়কটি দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের অতিব প্রয়োজনীয় এই সড়কটি সম্প্রসারণ করা ছাড়া বিকল্প নেই বলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মতামত উঠে আসার পর জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প অনুমোদন হয়।
সরকার দেশের অর্থনীতির জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কারে গত বছরের ২১ মার্চ ৩শ’ ২৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি সড়কের দু’পাশের গাছ কেটে সম্প্রসারণের সিদ্ধাšত হয়। যানবাহনের চাপ সামলাতে ২৪ ফিট প্রস্থের রাস্তাটি ৪০.৩৫ ফিট চাওড়া করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়। প্রকল্প পাশও হল। যখন সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে তখন হঠাৎ গাছ কাটার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত তৈরি হয় যশোরে।
ওই বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে গত ৬ জানুয়ারি যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যশোরের বেশ কয়েকজন এমপিসহ সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দু’জন অতিরিক্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় বিশেষজ্ঞদের মতামত বিশ্লেষণ করে গাছ কাটার সিদ্ধাšত নেয়া হয়। গত ১৮ জানুয়ারি উচ্চ আদালত ৬ মাসের জন্য গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা দেন। ফলে দেশের জন্যে অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ যশোর-বেনাপোল রোড সম্প্রসারণ কাজ ঝুলে যায়।
এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এরপর সরকারকে জনস্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কটি প্রশ¯ত করার তাগিদ দিয়ে মাঠে আরও জোরেসোরে নামেন নাগরিক অধিকার আন্দোলন যশোরের নেতৃবৃন্দ।
মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহগমান সজন, সেক্রেটারি এমদাদুল হক লতা, আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, বেনাপোল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মহসিন মিলন, আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, এনামুল হক মকুল, ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের বন্দর সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, বেনাপোল প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক বকুল মাহবুব,ও বর্তমান সাধারন সম্পাদক এম াার রহমান রাসু। কাজেই গাছ কেটে রা¯তা সম্প্রসারণ করা সময়ের প্রয়োজন, সময়ের দাবি বলে দাবি যশোরাঞ্চলের সাধারন মানুষের।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস