বাংলা৭১নিউজ, বেনাপোল: দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বেনাপোল ছেড়ে গেল খুলনা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস-২।
আজ বেলা ১টা ৫৪ মিনিটে দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই রেল সার্ভিস উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বেনাপোল রেলস্টেশনে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বেনাপোল রেলস্টেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, রেল মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, স্থানীয় এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, স্বপন ভট্টাচার্য এমপি, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম, রেলের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চলীয় জিএম খায়রুল আলম , জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুর কবীর, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো: শত্তকাত হোসেন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
অাজ কলকাতার উদ্দেশ্যে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস-২।
খুলনা স্টেশনে উপস্থিত থেকে ট্রেনটিকে বিদায় জানান খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার কাজী আমিরুল ইসলামসহ সহস্রাধিক উৎসুক জনতা।
যশোর স্টেশনের মাস্টার পুষ্পল কুমার চক্রবর্তী বলেন, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে মৈত্রী এক্সপ্রেস-২ খুলনা স্টেশন থেকে কোলকাতার উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করে।
যশোর জংশনে যাত্রা বিরতি শেষে সকাল পৌনে ১১টায় বেনাপোলে পৌঁছায়। খুলনা থেকে ৫টি বগি নিয়ে পরীক্ষামূলক এ যাত্রায় কোন সাধারন যাত্রী বহন করা হয়নি।
এ ট্রেনের যাত্রী ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ ৪৩ জন। বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
খুলনা-কলকাতা নিয়মিত ট্রেন যোগাযোগ চালু ভারত ও বাংলাদেশের কানেক্টিভিটিতে নিঃসন্দেহে বড় একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
রেলমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এ রুটে ট্রেন সার্ভিস চালু ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তরকারী একটি সিদ্ধান্তের ফলে আবার চালু হলো কলকাতা-খুলনার মধ্যে ট্রেনের এই সেবা।
বাসের চেয়ে ট্রেনের যাত্রা অনেক বেশি আরামদায়ক এবং সময় সাশ্রয়ী বলে বাসের চেয়ে খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস অনেক বেশি জনপ্রিয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অতি সহজে ভারতে যাতায়াত করতে পারবে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বিরাট ভূমিকা রাখবে । সেই সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ ও শক্ত হবে।
ফুল ও রঙিন কাপড় দিয়ে সাজানো সাদার মাঝে লাল সবুজ রেখা টানা ৫ বগির ট্রেনটি খুলনা-যশোর-বেনাপোল হয়ে ভারতের পেট্রাপোল-বনগাঁ হয়ে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছবে।
আগামীকাল রোববার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ওই ট্রেন কলকাতা থেকে খুলনায় ফিরে আসবে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস