ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরি জেলায় অজ্ঞাত একটি ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ওই অঞ্চলের নাগরিকদের বাংলাদেশে আসা এবং বাংলাদেশিদের সেখানে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। বেনাপোল ইমিগ্রেশনকে চিঠি দিয়ে সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনোভাবে যাতে অন্ধ্রপ্রদেশের ওই অঞ্চলের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তিনি জানান, এছাড়া বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যাচ্ছেন তারাও যেন কোনোভাবে অন্ধ্রপ্রদেশে না যায় এজন্যও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগকে ও নির্দেশনা মানতে পত্র দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার উৎপলা বিশ্বাস জানান, চিঠি পেয়ে নিরাপত্তার প্রতি সজাগ থাকতে স্বাস্থ্য কর্মীদের বলা হয়েছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের সময় আবার নতুন করে অন্ধ্রপ্রদেশের এ অজ্ঞাত রোগের কথা শুনে আতঙ্কিত হতে দেখা যায় অনেক পাসপোর্টধারী যাত্রীকে। এর আগে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ইবোলা, সার্স ও বার্ডফ্লুসহ কয়েকটি ভাইরাস প্রতিরোধে নেওয়া হয় সতর্কতা।
জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে বাণিজ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার দেশ-বিদেশি যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। বাণিজ্যিক কাজে বাংলাদেশি অনেক ব্যবসায়ী অন্ধ্রপ্রদেশে যাতায়াত করে থাকে। তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের মধ্যে শর্ত সাপেক্ষে মেডিকেল, বিজনেস ও কূটনৈতিক ভিসায় দেযা হচছে । এ সীমান্তে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মানুষের জনসমাগম থাকায় সব সময় সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে৷ সব সময় অন্যান্য বন্দরের চেয়ে এ বন্দর দিয়ে যাত্রী যাতায়াত বেশি থাকে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে