বাংলা৭১নিউজ, গাজীপুর: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৃষ্টি-বাদলকে অজুহাত দেখিয়ে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা বিঘ্নিত হবে, এটা আমি বলতে চাই না, এটা আমাদের লক্ষ্য নয়।

তিনি বলেন, যেকোনো অবস্থায়, আমরা বৃষ্টি-বাদলের মধ্যেও আমাদের সড়ক ইউজ্যাবল রাখব, পাস্যাবল রাখব, সচল রাখব, যানবহন চলাচলের উপযোগী রাখব। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। এখানে হাইওয়ে পুলিশ, পুলিশ, মালিক-শ্রমিক সবার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সর্বত্রই আমরা যোগাযোগ করেছি।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে ঈদ উপলক্ষে যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এইসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, গত ঈদে যেভাবে মানুষের ঘরমুখো যাত্রা স্বস্তির সঙ্গে সম্পন্ন করা গেছে, আমার বিশ্বাস এবারও ঘরমুখো যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। বর্ষাকালে বৃষ্টি তো হবেই। বৃষ্টিকে ভিলেন বানিয়ে, অজুহাত সৃষ্টি করে, রাস্তা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী থাকবে এটা হয় না। বৃষ্টিরও ট্রিটমেন্ট আছে। যখন বৃষ্টি চলে, তখনও একটা ট্রিটমেন্ট আছে, রাস্তার তখনও ট্রিটমেন্ট করতে হবে। চিকিৎসা আছে, যখন যেই রোগ, সেই রোগের চিকিৎসা করতে হবে। হাইওয়ে পুলিশ, পুলিশ তারা সবাই মাঠে থাকবে। এখন থেকেই তারা মাঠে অবস্থান নেবে।

তিনি আরো বলেন, কোরবানি ঈদে একটা সমস্যা হচ্ছে পশুবাহী পরিবহন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এগুলোই সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এ গাড়িগুলো ধীর গতিতে চলে। এই ধীর গতির জন্য রাস্তায় টেল ব্রেক পড়ে বা যানবাহন তখন একটু স্লো হয়ে যায়। কারণ এ গাড়িগুলোর গতি খুব থাকে না। অনেক সময় দেখা যায় ফিটনেসবিহীন কিছু কিছু গাড়ি পশু বহন করে। এটাও একটা সমস্যা। এর জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে আগে ভাগে জানিয়ে দিয়েছি, পশুবাহী গাড়িগুলো যেন ফিটনেস থাকে। এগুলো যখন তখন যদি আটকে যায়, বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে তো যান চলাচল বিঘ্নিত হবে এবং যানজটের কারণ হবে।

মন্ত্রী বলেন, ঈদের দিন সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আমরা ছুটি দিয়েছি। বাকি সময় আমাদের যারা প্রকৌশলী আছে দায়িত্বরত তাদের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলে ৫০টি পয়েন্টে এক থেকে তিন কিলোমিটার রাস্তা এখনো পানির নিচে রয়েছে। পানি অবশ্য কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রকৌশলীরা সেখানে কন্ট্রাক্টরদের নিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ সম্পন্ন করছে। এবার আমাদের নজরদারি রয়েছে, কড়া নজরদারি। কারণ এবার দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি আমাদের সতর্ক করে দিয়েছে।

এ সময় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান, সাসেক প্রকল্প পরিচালক দিলীপ কুমার গুহ, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস