বাংলা৭১নিউজ,(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় টানা কয়েকে দিনের বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়েছে। এতে তিন গ্রামের অর্ধশত বাড়িঘর নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
সোমেশ্বরী নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা বসতিদের অনেকে নিজেদের ঘর নিজেরাই ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ভুলিপাড়া, বড়ইকান্দি, খামারখালী গ্রাম ঘেঁষে বয়ে যাওয়া সোমেশ্বরী নদীর স্রোতে পাড় ভেঙে যাচ্ছে।
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর তীর ভাঙনের ফলে খামারখালী বাজারের কিছু অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে হঠাৎ বন্যার পানির আগমনে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা পড়েছেন বিপাকে। নদীর প্রবল স্রোতে তীরের নিচ দিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়ে অনেক জায়গা দেবে গেছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভাঙন থেকে ঘরবাড়ি রক্ষায় ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে বড়ইকান্দি গ্রামের মোছা. জেলেকা খাতুন, মো. সমেশ খাঁ, মো. তারা মিয়া, মো. আ. মান্নান, মো. জসিম উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে গেছে।
এছাড়া আতঙ্ক ও ঝুঁকিতে রয়েছে অর্ধশত বাড়িঘরের লোকজন। যে কোনো মুহূর্তে ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে যেতে পারে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভাঙন কবলিত লোকজনদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা খানম জানান, সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরে বেশ কয়েকটি পরিবারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শুনেছি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর