বাংলা৭১নিউজ, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় একটি বিয়ে বাড়িতে কনের সাবেক প্রেমিক ও তার দলবলের হামলায় দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী গ্রামে এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। সংঘর্ষে ভাঙচুর করা হয় গোপালদি পৌরসভার মেয়রের গাড়ি। প্রায় একঘণ্টা অবরুদ্ধের পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, গোপালদি পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম শিকদারের মামাতো ভাই রামচন্দ্রদী গ্রামের দুলাল মিয়ার সঙ্গে বিশনন্দী গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে সোনিয়া আক্তারের বিয়ে হয় শুক্রবার দুপুরে।
তবে বিয়ের আগে দুপুর ১২টার দিকে সোনিয়ার সাবেক প্রেমিকা বিশনন্দী গ্রামের রুহুল ও তার সহযোগি রনিসহ ১০ থেকে ১২ জন গিয়ে বিয়ে বন্ধ রাখতে বলে।
এ পরিস্থিতিতে দুপুর ২টার দিকে বরপক্ষ চলে আসে, যেখানে মেয়র হালিম শিকদারও উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর বিকেল ৩টার দিকে আবারও হুমকি দেওয়া ওই প্রেমিক। এক পর্যায়ে সে তার লোকজন নিয়ে হামলা করে।
এ সময় কনে ও বরপক্ষের লোকজনদের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মেয়রকে। ভাঙচুর করা হয় মেয়রের গাড়িসহ কনের বাড়িতে থাকা বিয়ের আসবাবপত্র ও অন্য জিনিসপত্র।
কনের বাবা রিপন মিয়া জানান, সকালে রনি ও রুহুলসহ আরও কয়েকজন এসে বিয়েতে বাধা দেয়। পরে দুপুরে বরপক্ষ আসলে বিয়ে পড়ানো হয়। কিন্তু এর পরেই শুরু হয় হামলা।
সংঘর্ষে পুলিশের কনস্টেবল হুমায়ূনসহ স্থানীয় মনির, কাউসার, আউয়াল, হক মিয়া, জজ মিয়া, শামীমসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নরসিংদির বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের আহতের খবর জানা গেলেও তাদের পরিচয় তাৎক্ষনিক জানা যায়নি।
আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কমপক্ষে ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। বিকেল ৫টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। সংঘর্ষে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/পিকে