ঢাকার বাড়ি থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে যায় ছয় কিশোর-কিশোরী। পুলিশ বলছে, তাদের মধ্যে দুজনের বিয়ের পরিকল্পনা ছিল। বাকিরা ওই দুজনের সহযাত্রী। পরিকল্পনা অনুযায়ী ট্রেন থেকে বন্দর নগরীতে নেমে রিয়াজ উদ্দিন বাজারে বিয়ের কেনাকাটাও সারে তারা। এরপর আবার ফিরে আসে রেল স্টেশনে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাদের সেই পরিকল্পনা ভণ্ডুল করে দিয়েছে। সমাজসেবা অধিদফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের জিম্মায় ওই ছয় কিশোর-কিশোরীকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা ওই ছয় কিশোর-কিশোরীকে চট্টগ্রাম সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক, পাঁচজনের অভিভাবক ও একজন প্রতিনিধির জিম্মায় ফেরত পাঠানো হয়।

এই ছয়জনের মধ্যে তিন কিশোরীর দুজন ষষ্ঠ এবং একজন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর তিন কিশোরের দুজন নবম এবং একজন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নোবেল চাকমা  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যে মেয়ের বিয়ের পরিকল্পনা ছিল তার বয়স ১২ বছর। ক্লাস ফাইভের ছাত্রী। ছেলেটির বয়স ১৫-১৬ বছর। পড়ালেখা করে না। তাদের সঙ্গে আসে আরও দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে। তাদের মধ্যে তিনজনের বয়সই ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। একটি ছেলের বয়স একটু বেশি, ১৭-১৮ বছর। তাদের সবার বাড়ি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায়।’

এসি নোবেল চাকমা আরও বলেন, ‘ওই কিশোর-কিশোরীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে চট্টগ্রামে আসে। যে দুজনের বিয়ে তাদের জন্য পোশাকও কেনা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রেলস্টেশন এলাকায় গিয়ে তাদের নিজেদের হেফাজতে নেয়। এরপরই তাদের অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়। আজ সকালে পাঁচজনের অভিভাবক থানায় আসেন। পরে ওই ছয় কিশোর-কিশোরীকে চট্টগ্রাম সমাজ সেবা অধিদফতরের পরিচালক ও একজন প্রতিনিধির জিম্মায় বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

বাংলা৭১নিউজ/এমকে