সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে আবারও সংঘর্ষের ব্যাপকতা বেড়েছে।
রাজ্যটিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্ত এলাকা থেমে থেমে কেঁপে উঠছে।
কখন গুলি এসে লাগে, গোলা এসে পড়ে, এমন ভয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা দিন কাটাচ্ছেন। একই পরিস্থিতি সেন্টমার্টিন ও উখিয়ায়।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে রোববার সকাল ১০টার দিকে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ার জানান, নাফ নদীর ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। এতে এপারে গুলি-মর্টারের গোলা এসে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘ এক মাস পর সীমান্তের রাতভর গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুরউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে রাতভর গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এতে সীমান্তের বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্য আছেন।
‘গত এক মাস পর আমাদের সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে।’
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের নাফ নদের ওপারে মিয়ানমারের মংডুর আশপাশের এলাকায় শনিবার রাত আটটা থেকে রোববার সকাল সাতটা পর্যন্ত ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়ার কথা জানান সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রেজাউল করিম।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত রাতে সীমান্তের ওপার থেকে কিছুক্ষণ পরপর থেমে থেমে বিকট শব্দ পাওয়া যায়। অনেক সময় যুদ্ধবিমান দেখা গেছে। বিকট শব্দে বাড়িঘর কেঁপে উঠেছে। গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে সাবরাং সীমান্তের আচারবনিয়া পাড়ার বাসিন্দা মো. নূর বলেন, ‘ওপারে মিয়ানমারে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। সংঘর্ষে ব্যবহার হচ্ছে মর্টার শেল ও ভারী গোলা। হামলা হচ্ছে আকাশপথে যুদ্ধ বিমান থেকেও, যার কারণে সীমান্তে বসবাসকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
‘এর আগে আমাদের এলাকায় গোলার বিকট শব্দে অনেকের ঘরবাড়ি ফাটল ধরেছে।’
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে রাতভর গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। আমরা সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষের খোঁজখবর রাখছি।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ