বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্লেইন প্যাকেজিং, তামাক নিয়ন্ত্রণে আগামী দিন। এই স্লোগানে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস।
ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলে স্বাক্ষর করা দেশ হিসেবে তামাকপণ্যের অনাকর্ষণীয় মোড়ক বাস্তবায়ন করতে হবে বাংলাদেশকেও।
কিন্তু সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, সচিত্র সতর্কবাণী সম্বলিত প্যাকেটের আইন বাস্তবায়নেই অবহেলা চোখে পড়ার মতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। ধূমপানে বিষপান। বহুলচর্চিত প্রবাদ। কিন্তু বছরের পর বছর এই প্রবাদ যেনো বন্দি ছাপার অক্ষরে। সরকারি বেসরকারি নানা উদ্যোগের পরও সিগারেটসহ অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণের হার কমার কোনো লক্ষণ নেই।
এমন বাস্তবতায় এ বছরের ১৯ মার্চ থেকে তামাকপণ্যের প্যাকেটে সচিত্র সতর্কবাণী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, ৭৫ শতাংশ তামাকপণ্যের ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। বিড়ির ক্ষেত্রে এই হার শূন্য। আর ৩৫ ব্র্যান্ডের সিগারেটের মধ্যে ৫৫.৩ শতাংশ প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই। ৯১.৬ শতাংশ জর্দা ও ৮৭.৯ শতাংশ গুলের কৌটাতে পাওয়া যায়নি এই সতর্কবাণী।
সচিত্র সতর্কবাণীর আইনের প্রয়োগ যখন এই বাস্তবতায়, তখন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল অনুযায়ী তামাক পণ্যের প্যাকেট হতে হবে প্লেইন অর্থাৎ অনাকর্ষণীয়। আন্তর্জাতিক এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশও। এর ১১ ও ১৩ ধারায় বলা হয়েছে প্লেইন প্যাকেজিংয়ের কথা।
যাতে মোড়কগুলো হবে একটি নির্দিষ্ট রঙের, পণ্যের ব্র্যান্ডের লোগো থাকবে না, এমনকি লেখা থাকবে না কোনো বিভ্রান্তিকর ও প্রচারণামূলক বাণীও।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস