বাংলা৭১নিউজ, টঙ্গী : আগামীকাল শুক্রবার ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা।
সমাবেশে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মুসল্লি অংশ গ্রহণ করবেন।
টুঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে তিন দিনব্যাপী তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্যায়ে আখেরী মোনাজাত আগামী ১৫ জানুয়ারি রোববার সকালে অনুষ্ঠিত হবে।
চারদিন বিরতির পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ইজতেমা ২০ জানুয়ারি শুরু হবে এবং আগামী ২২ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ ইতোমধ্যে ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। তারা রেলপথ, সড়ক পথ, নৌপথ এবং অনেকে পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে আসছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল জানান, বিশ্বের দেড় শতাধিক মুসলিম দেশের প্রায় ১৫ হাজার তাবলীগ জামাতের প্রতিনিধি ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে অংশ নিয়েছেন। গত বছর ১৮ হাজার বিদেশী অংশ নিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।
বিদেশী তাবলীগ জামাতের জন্য আলাদভাবে যে প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে তা ইতোমধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
মুসল্লিদের সমাগম বেশি হওয়ায় এবছর দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩২ জেলা এবং আগামী বছর অপর ৩২ জেলার মুসল্লিদের জন্য ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। মুসল্লিদের চাপ কমাতে জেলা এবং আঞ্চলিক পর্যায়েও ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় বলে আয়োজকরা জানান।
এদিকে, আজ ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বিশ্ব ইজতেমায় হামদর্দের একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেছেন।এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইজতেমা আয়োজকরা জানান, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন জেলা প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি পৃথক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। ইজতেমায় আগত দেশী-বিদেশী মুসল্লীদের স্বাগত জানিয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরাসহ র্যাবের ৯টি ও পুলিশের ৫টিসহ মোট ১৪টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
ইজতেমা কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক ৭০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার সরবরাহসহ ইজতেমা চলাকালে ২০টি গার্বেজ ট্রাকের মাধ্যমে দিন-রাত বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম নিশ্চিত করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমসহ অন্যান্য স্থানে অস্থায়ীভাবে খুঁটি স্থাপনের মাধ্যমে ৪শ’টি বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা, তুরাগ নদীতে নিরাপত্তার জন্য টঙ্গী ব্রিজ ও কামারপাড়া ব্রিজের নীচে দুই পার্শ্বে বাঁশ দিয়ে ২টি বেষ্টনী নির্মাণ করা হয়েছে।
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চৌরাস্তা পর্যন্ত দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও রাস্তায় পার্কিং করা গাড়িসমূহ অপসারণ, ধূলাবালী নিয়ন্ত্রণের জন্য সার্বক্ষণিক পানি ছিটানোর ব্যবস্থা, রাস্তার দুই পাশে দেয়ালের অশ্লীল পোস্টার অপসারণ ও সিনেমা হলসমূহ সম্পূর্ণ বন্ধের ব্যবস্থা, বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ৬টি টেলিফোন লাইন ও কয়েকটি হট লাইন স্থাপন, বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য কন্ট্রোল রুমের সামনে ৫৪টি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এম