করোনার মধ্যেই ভারত পেতে চলেছে এক সাফল্য। নির্মাণকাজ শেষ হলেই ভারতের মহারাষ্ট্রের জৈতাপুর পরমাণু কেন্দ্র বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্রে পরিণত হবে। আর এই প্রকল্পে সহায়তা করছে ফ্রান্সের পরমাণু চুল্লি নির্মাতা সংস্থা ইডিএফ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এসংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হবে।
আমেরিকার সংস্থা জিই স্টিম পাওয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে জৈতাপুরে ছয়টি ইপিআর পরমাণু চুল্লি নির্মাণ করবে ইডিএফ। নির্মাণের কাজ শেষ হলে ১০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনে সক্ষম হবে জৈতাপুর, যা দিয়ে ৭ কোটি পরিবারের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
ইডিএফের পরমাণু বিভাগের প্রধান জেভিয়ার আরসাত জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হতে ১৫ বছর লাগবে। যদিও তার অনেক আগেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। এই পরমাণু বিদ্যুৎপ্রকল্পের মাধ্যমে অন্তত ২৫ হাজার স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হবে । পাশাপাশি ২৭০০ মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে। প্রকল্পে ভূমিকম্পের ঝুঁকি এবং স্থানীয় ফিশিংয়ের সম্ভাব্য বিষয়কে মূল বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং জাপানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক প্রযুক্তি বিনিময়ের জন্য ভারত এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে। বর্তমানে ভারতে ২২টি কার্যনির্বাহী পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগ চাপযুক্ত ভারী পানি চুল্লী, যা দেশের প্রায় তিন শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস