শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: কয়েক মাস ধরে টানা যুদ্ধ করার পর শেষ পর্যন্ত গতমাসে সিরিয়ার বাঘুজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট।দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় এই গ্রামটি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আইএসের স্বঘোষিত খেলাফতের অবসান ঘটলো বলে বলা হচ্ছে।

চরমপন্থী এই গ্রুপটির জন্যে এটা বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তারা বিশ্বের আর কোথাও বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সক্ষম নয়।

আইএস এবং তার সহযোগীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও সক্রিয়। অনলাইনে তাদের যেসব মাধ্যম আছে সেখানে তারা প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানোর দাবি করছে।

বিবিসি মনিটরিং যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সিরিয়া এবং ইরাকের যে বিস্তৃত অঞ্চলে আই এস নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেগুলো হারিয়ে ফেলা পরও গত বছর তারা সারা বিশ্বে ৩,৬৭০টি হামলা চালিয়েছে।

তার মানে গড়ে প্রত্যেক দিনে ১১টি করে হামলা করেছে তারা।এবছরের প্রথম দুমাসেও আই এস ৫০২টি হামলা করেছে।

.

দেখা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আই এসের হামলার সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স বা এসডিএফ আই এসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হাজিন ও বাঘুজ পুনর্দখলের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করার পর জঙ্গিদের হামলা বেড়ে গিয়েছিল।

ওই অভিযানে জবাবে জিহাদি গ্রুপটি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তাদের হামলা বাড়িয়ে দেয়। বলা হচ্ছে, মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে সরানোই ছিল তাদের লক্ষ্য।তবে সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে সিরিয়া ও ইরাকে। আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ফিলিপিন্স, নাইজেরিয়া এবং মিশরেও আই এসের জঙ্গিরা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আই এসকে পরাজিত করার যে ঘোষণা দিয়েছেন তাকে আই এসের নেতারা ব্যঙ্গ করে বলেছে, তাদের সেই স্বপ্ন এখনও বহু দূরে।ইরাকের মসুল এবং সিরিয়ার রাকা ইসলামিক স্টেটের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর তাদের খেলাফতের মডেল ২০১৭ সালের শেষের দিকে শেষ হয়ে যায়।

ইসলামিক স্টেট যেসব দেশ ও এলাকায় সক্রিয় আছে বলে ঘোষণা করেছে সেগুলো হচ্ছে: ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, মিশর, ইয়েমেন, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, খোরাসান (আফগানিস্তান-পাকিস্তান অঞ্চল), ককেশাস, পূর্ব এশিয়া (মূলত ফিলিপিন্সে), সোমালিয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকা ( মূলত নাইজেরিয়া)।

গ্রুপটি সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে যে তিউনিসিয়াতে তারা তাদের তৎপরতা জোরদার করতে যাচ্ছে।এর আগে ২০১৫ সালে তারা একটি যাদুঘর ও সমুদ্র সৈকতে হামলা চালানোর কৃতিত্ব দাবী করেছিল। কিন্তু এরপরে তারা সেখানে আর তেমন কিছু করতে পারেনি।

এছাড়াও আই এস এই প্রথম বুরকিনা ফাসোতে তাদের উপস্থিতির কথা ঘোষণা করেছে।এই দুটো ঘোষণা থেকে একটা জিনিস প্রমাণ হয়- আই এসের যে বিশেষ শ্লোগান “থাকা ও বিস্তৃত করা” এই নীতিতে তারা এখনও অটল।তবে আইএসের জন্যে এখনও সবচেয়ে বড় রণক্ষেত্র হচ্ছে সিরিয়া ও ইরাক।

আইএস গত বছর সারা বিশ্বে যে ৩,৬৭০টি হামলা চালানোর দাবি করেছে, তার ৪৮% (১,৭৬৭টি) হামলা হয়েছে ইরাকে এবং ৩১% হামলা হয়েছে (১,১২৪টি) সিরিয়াতে।

তবে গত বছর আইএসের বিভিন্ন শাখার তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাক ও সিরিয়াতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পর তারা যেন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

এর মাধ্যমে তারা লোকজনকে এটাও জানাতে চাইছে যে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও তারা তৎপর রয়েছে।

আইএস ২০১৮ সালে আফগানিস্তানে ৩১৬, মিশরের সিনাই উপদ্বীপে ১৮১, সোমালিয়ায় ৭৩, নাইজেরিয়ায় ৪৪, ইয়েমেনে ৪১, এবং ফিলিপিন্সে ২৭টি হামলা চালিয়েছে।এবছরেরই প্রথম তিনমাসে আইএস নাইজেরিয়াতে ৪৪টি হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। এই হামলার সংখ্যা গত বছরে চালানো হামলার প্রায় সমান।

ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স থেকে আইএস গত জানুয়ারি মাসে একটা প্রচারণা ভিডিওতে মুসলমানদেরকে সেখানে গিয়ে তাদের সাথে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছে।

এমনকি তারা বিদেশি যোদ্ধাদেরকে রিক্রুট করারও ইঙ্গিত দিয়েছে।

.

গত মাসে ওয়েস্ট আফ্রিকান প্রভিন্সের আইএস প্রথমবারের মতো ঘোষণা করেছে যে বুরকিনা ফাসোতেও তাদের উপস্থিতি আছে।ইসলামিক স্টেটের প্রতিদ্বন্দ্বী আল কায়দা এর আগেই দেশটিতে বেশ কয়েকটি হামলা চালানোর কথা দাবি করেছে।ফিলিপিন্সেও হামলার সংখ্যা বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএস সেখানে স্থানীয় সহযোগীদের নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে তারা ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গত কয়েক দশক ধরে তারা যুদ্ধ করে আসছে। তবে তাদের বেশিরভাগ হামলাই ছিল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, এবং বিচ্ছিন্ন।

এর আগের বছর আইএস যুক্তরাজ্যে চারটি, স্পেনের বার্সেলোনায়, যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে হামলা চালানোর কথা দাবি করেছে।কিন্তু এসবের পক্ষে আইএস কোন তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি।

২০১৮ সালে আইএস পশ্চিমা দেশগুলোতে সাতটি হামলা চালানোর কথা দাবি করে। তার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সে ছুরি হামলা। এছাড়াও তারা বেলজিয়াম, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতেও হামলা চালানোর কথা দাবি করেছে।

বাংলা৭১নিউজ/বিবিসি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com