আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং প্রকাশক সংস্থা ‘আলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’ সম্প্রতি বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ২৪ জন। শিক্ষকদের পাশাপাশি ২ জন শিক্ষার্থীও এ তালিকায় রয়েছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানের এই সূচকটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর সর্বমোট স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ২০৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক।
গবেষকদের তালিকায় গবির স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোখলেছুর রহমান সরকার, বিভাগটির শিক্ষক ড. পিযুষ কুমার পাল, মো. সেলিম হোসেন, মো. গোলাম মোস্তফা ও অনন্ত কুমার দাস। রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিলয় কুমার দে ও সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শামীম মাহবুব।
বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক মো. এখলাস উদ্দিন দিপু, মো. ইউসুফ আলী। কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক তানিয়া আক্তার, শায়লা রহমান, শরীফ আহমেদ, শাহরিয়ার হাসান, আতিকুর রহমান এবং শিক্ষার্থী সামিরা আক্তার টুম্পা ও মো. আকিফুল ইসলাম ফাহিম।
ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষক ডা. মো. রুকনুজ্জামান। ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষক বি এম জুয়েল রানা , সেলিনা আক্তার, মো. হাফিজুর রহমান। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এস এম ফাহাদ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এস মৃদুল কান্তি সাহা।
এছাড়া মেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শাহ্ সুলতান মাশরাফি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিডিসিপ্লিনারি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা সহকারী সোহেল হোসেন এতে স্থান পেয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে আমরা আনন্দিত। তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি, এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে গবেষণার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের এইচ-ইনডেক্স, আই-১০ ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়।
এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়। ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো- কৃষি ও বনায়ন, কলা, নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ