বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নিজেদের জন্য যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম এবং উন্নত পাঠদানের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বমানের শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ এবং নৈতিক মূল্যবোধসহ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আজ বিকেলে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সমাবর্তনে ভাষণকালে একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাসগুলোতে সময়ের সাথে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ব্যর্থ হলে তা যুগের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে। তিনি শিক্ষার সকল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নতুন প্রকৌশলীরা তাদের সৃষ্টিশীল চিন্তা ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন-২০২১-এর আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। জাতি গঠনে প্রকৌশল শিক্ষাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা একটি জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি প্রকৌশলীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রকৌশলীদের চিন্তা ও চেতনায় দূরদর্শী হতে হবে। আন্তর্জাতিক মানে নতুন প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদেরকে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মোবাইল ফোন এবং এর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সমাজ জীবনে বিরূপ প্রভাবসহ প্রযুক্তি ব্যবহারের নেতিবাচক দিকের উল্লেখ করে গ্রাজুয়েটদর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, প্রযুক্তি উন্নয়নের বাহন। কিন্তু এ প্রযুক্তি যেনো সর্বনাশের বাহন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
আবদুল হামিদ নতুন গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে তাদের পেশাগত কর্মকান্ডের পাশাপাশি দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন। তিনি আশা প্রকাশ করে যে, শিক্ষার্থীরা তাদের সেবা, সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে।
রাষ্ট্রপতি তাদের কখনো অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত না করা এবং আপন স্বার্থে নিজ সম্মানবোধ ও নৈতিকতাকে ভুলুন্ঠিত না করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৭৯৬ জনকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি, ২২৮ জনকে অন্যান্য ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি, ৪৮ জনকে মাস্টার অব ফিলোসফি (এমফিল), ৮ জনকে ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) প্রদান এবং ৩৮ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক দেয়া হয়।
এতে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহামমদ আলী আসগর সমাবর্তন বক্তা ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ডিন অধ্যাপক ড. কাজী হামিদুল বারি, অধ্যাপক ড. আবদুর রফিক, অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার এবং রেজিস্ট্রার জি এম শহীদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন। সূত্র: বাসস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস