বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেন শিকদার। আজ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এই কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামনের বছর থেকে আঞ্চলিক বিকেএসপিগুলোকে পূর্ণাঙ্গ বিকেএসপি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরনো ভবনে প্রশিক্ষণের জন্য নতুন নতুন বিভাগ খোলা হবে।’
১৯৭৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার চালু হয়। শুরুর বছরে আটজনকে দেয়া হয়েছিল ক্রীড়া পুরস্কার। এরপর ছয় বছর এটি বন্ধ ছিল।
আজ ওসমানী মিলনায়তনে ২০১১ ও ২০১২ সাল এই তিন বছরের ৩৩ জনের হাতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এখন থেকে নিয়মিত ক্রীড়া পুরস্কার দেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিরেন শিকদার বলেন, ‘এই পুরস্কার দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
২০১০ সালের জন্য মনোনীতরা হলেন সাঁতারু মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার হারুন অর রশিদ ও নায়েক মোঃ: তকবির হোসেন (মরণোত্তর), শুটার আতিকুর রহমান, অ্যাথলেট ফরিদ উদ্দিন খান চৌধুরী, মাহমুদা বেগম ও নেলী জেসমিন, স্পেশাল অলিম্পিকের অ্যাথলেট নিপা বোস, জিমন্যাস্ট দেওয়ান নজরুল ইসলাম, সংগঠক বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মানু ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম আলী কবির। ২০১১ সালে সংগঠক হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শেখ কামাল মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট, হকির জুম্মন লুসাই, জিমন্যাস্ট রওশন আরা ছবি, বক্সার অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো: কাঞ্চন আলী, কুস্তিগীর সুবেদার হাজী আশরাফ আলী, ভলিবল খেলোয়াড় হেলেনা খান ইভা, শরীর গঠনে রবিউল ইসলাম (ফটিক দত্ত), ক্রীড়া সংগঠক শহীদ শেখ কামাল, কুতুবউদ্দিন চৌধুরী আকসির ও আশিকুর রহমান মিকু মনোনয়ন পান।
২০১২ সালের জন্য পাঁচজন ফুটবলার, চারজন সংগঠক ও একজন করে অ্যাথলেট ব্যাডমিন্টন ও হকি খেলোয়াড় রয়েছেন। মনোনীতরা হলেন ফুটবলার মোহাম্মদ মহসীন, খুরশিদ বাবুল, আশীষ ভদ্র, আবদুল গাফফার, সত্যজিৎ দাস রুপু, হকি খেলোয়াড় আনম মামুনুর রশিদ, অ্যাথলেট ফিরোজা বেগম, শাটলার নাজিয়া আক্তার যুথি, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল এবং সালমা রফিক (মরণোত্তর)।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস