আন্তর্জাতিক বাজারে সামান্য পরিমাণে বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ১ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের। তবে বুধবার (১৭ আগস্ট) ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দাম ছিল আন্তর্জাতিক বাজারে। গত জানুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে দাম পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই)।
ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ১ দশমিক ৩১ ডলার অথবা ১ দশমিক ৪২ শতাংশ ডলার বেড়েছে। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৯৩ দশমিক ৬৫ ডলার ব্যারেলপ্রতি। এর একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে বেঞ্জমার্ক তেলের দাম ছিল ৯১ দশমিক ৫১ ডলার, যা গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ১ দশমিক ৫৮ ডলার অথবা ৮৮ দশমিক ১১ ডলার বেড়েছে ব্যারেলপ্রতি।
মার্কিন অপরিশোধিত তেল রপ্তানি প্রতিদিন পাঁছ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছেছে, যা রেকর্ডের সর্বোচ্চ বলছে ইআইএ ডেটা। এছাড়া ডব্লিউটিআই ডিসকাউন্টে লেনদেন করছে বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহী করতে।
প্রাইস ফিউচার গ্রুপের বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেছেন, ‘এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজার কিছুটা উদ্বেগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল যেটির কিছুটা উপশম হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
এদিকে মঙ্গলবার আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, সবশেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানির মজুত কমেছে।
গত ১২ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে তাদের অপরিশোধিত তেলের মজুত প্রায় চার লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল কমেছে। গ্যাসোলিনের মজুত কমেছে প্রায় ৪৫ লাখ ব্যারেল।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পর ২০২২ সালে তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। গত মার্চ মাসে সর্বোচ্চ দামের কাছাকাছি পৌঁছায়। এর আগে ২০০৮ সালে জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম ১৪৭ ডলারে উঠেছিল আন্তর্জাতিক বাজারে।
রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর ধীরে ধীরে তেলের উৎপাদন বাড়াতে শুরু করে এবং এশিয়ার ক্রেতারা তেল কেনা বাড়িয়েছে দেশটি থেকে। যার ফলে মস্কো ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত মুনাফা করবে, বলছেন বিশ্লেষকরা। এ বছর জ্বালানি রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় ৩৮ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ